বুধবার কলকাতার বাজারে পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট, ১০ গ্রাম) আরও বেড়ে পৌঁছেছে ৫৬,৭০০ টাকায়। জিএসটি নিয়ে ৫৮,৪০১ টাকা। প্রতীকী ছবি।
এ মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু বিয়ের মরসুম। তার আগে আরও উঁচুতে উঠল সোনার দাম। যেখান থেকে সর্বোচ্চ দামের দূরত্ব মাত্র ২৬০ টাকা। ফলে নতুন নজির স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বুধবার কলকাতার বাজারে পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট, ১০ গ্রাম) আরও বেড়ে পৌঁছেছে ৫৬,৭০০ টাকায়। জিএসটি নিয়ে ৫৮,৪০১ টাকা। এর আগে ২০২০-র ৭ অগস্ট তার দর উঠেছিল ৫৬,৯৬০ টাকায় (জিএসটি ছাড়া)। ওটাই এখনওপর্যন্ত রেকর্ড।
যাঁরা ইতিমধ্যেই সোনার বার বা কয়েন কিনে লগ্নি করেছেন, তাঁরা কিছুটা স্বস্তিতে। ঘরে বা ব্যাঙ্কের লকারে পড়ে থাকা সোনার রিটার্নও বাড়ছে লাফিয়ে। ফলে সেটাও কিছুটা ভরসার। তবে যাঁরা সোনা কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, হতাশ তাঁরা। উদ্বিগ্ন গয়নার ব্যবসায়ীরাও। স্বর্ণশিল্প মহলের দাবি, পাকা সোনার দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে গয়নাতেও। বিশেষত ছোট দোকানগুলিতে চাহিদা প্রায় উধাও হতে বসেছে। প্রয়োজন না পড়লে ক্রেতা আসছেন না। সব থেকে কাহিল অবস্থা অবশ্য সেই সব সাধারণ রোজগেরে মানুষের, যাঁদের অবিলম্বে বিয়ের গয়নাগাঁটি কিনতে হবে। অথচ এত চড়া দাম চোকানোর মতো আর্থিক জোর নেই।
ভারতে ডলারের দাম বৃদ্ধিই সোনা দামি হওয়ার প্রধান কারণ, মন্তব্য জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাছরাজ বামালুয়ার। তাঁর দাবি, বড়দিন ও বর্ষবরণের ছুটি কাটিয়ে ফেরা বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি এ বার কাজ শুরু করেছে। তারা অনেকেই সোনায় লগ্নি করবে। ফলে বর্ধিত চাহিদা আগামী দিনে দামকে আরও উপরে তুলে দিতে পারে। ভাঙতে পারে পুরনো রেকর্ড। একাংশের মতে, কোভিড সংক্রমণ, জ্বালানির চড়া দাম, বিভিন্ন জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, সুদ বৃদ্ধির জেরে মন্দার আশঙ্কা— এই সব কিছু বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থির করছে। অনিশ্চয়তার কামড়ে লগ্নিকারীদের ভরসা বাড়ছে সোনায়, যা বরাবরই সুরক্ষিত লগ্নি হিসেবে গণ্য হয়। ফলে চাহিদা এবং দাম ঊর্ধ্বমুখী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy