মাঝে এক দিন অল্প কমেছিল। বুধবার কলকাতার বাজারে ফের ১ লক্ষ টাকা পার করে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছল গয়নার সোনার (১০ গ্রাম, ২২ ক্যারাট) দাম। জিএসটি বাদ দিয়েই। ১৫০০ টাকা বেড়ে তা হল ১,০১,৩০০ টাকা। আর জিএসটি-র হিসাব যোগ করে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১,০৪,৩৩৯ টাকা। এই প্রথম। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, ভারতীয় পণ্যে আমেরিকা ৫০% আমদানি শুল্ক চাপানোর ফলে অর্থনীতিতে তার সম্ভাব্য প্রভাব ঘিরে আশঙ্কা বাড়ছে। তার ফলে সুরক্ষিত লগ্নি পণ্য হিসেবে চাহিদা বাড়ছে সোনার। ফলে তার দামও বাড়ছে। তবে গয়না ব্যবসায়ী এবং কারিগরদের আক্ষেপ, উৎসবের মরসুমের আগে সোনার এই রেকর্ড দৌড় চাপে ফেলে দিয়েছে তাঁদের। বিশেষত ঘরের বাজারে দামের বিরূপ প্রভাবের পাশাপাশি যেখানে আমেরিকাতেও রফতানির বাজার হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে স্বর্ণ শিল্প মহল।
খুচরো পাকা সোনাও (১০ গ্রাম, ২৪ ক্যারাট) নতুন নজির গড়ে পৌঁছেছে ১,০৬,৬০০ টাকায়। জিএসটি ধরে ১,০৯,৭৯৮ টাকা। একই ভাবে প্রতি কেজি রুপোর বাটের দাম হয়েছে ১,২৩,৮০০ টাকা। খুচরো রুপো আরও ১০০ টাকা বেশি। করের হিসাব কষে এই দু’টির দাম যথাক্রমে ১,২৭,৫১৪ টাকা এবং ১,২৭,৬১৭ টাকা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দাম সর্বোচ্চ শিখর ছোঁয়ার নজির গড়েছে।
অঙ্কুরহাটি জেম অ্যান্ড জুয়েলারি পার্কের প্রেসিডেন্ট অশোক বেঙ্গানি বলেন, ‘‘সোনার দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি। আমরা ইতিমধ্যেই তাদের কাছে এ ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছি। আমাদের আবেদন, সোনার আমদানি শুল্ক কমানো হোক। সেই সঙ্গে গোল্ড মনিটাইজ়েশন প্রকল্পকে চাঙ্গা করা হোক। এই প্রকল্পে কোনও নাগরিক বাড়িতে থাকা সোনা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে সুদ পেতে পারেন। নির্দিষ্ট মেয়াদের শেষে একই ওজনের সোনা ফেরত পান। এই প্রকল্প চাঙ্গা হলে বাজারে সোনার জোগান বাড়বে। নিয়ন্ত্রণে আসবে দাম।’’ সোনায় জিএসটি-র হার ৩% থেকে কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বলেছেন, এতে ক্রেতা এবং ব্যবসায়ী, দু’পক্ষই একটু স্বস্তি পাবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)