ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক শুক্রবার ধস নামাল ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামে। ডলার ৫১ পয়সা উঠে এই প্রথম ৮৮ টাকা পেরোল। হল ৮৮.০৯ টাকা। এতে ক্ষোভ বেড়েছে আমেরিকার বিরুদ্ধে। একাংশের দাবি, ভারতীয় অর্থনীতিতে সঙ্কট তৈরি করতেই চেয়েছিলেন ট্রাম্প। রফতানির পরে আমদানি ঘিরেও উদ্বেগ বাড়ল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা তিনটি লেনদেনে সেনসেক্স হারিয়েছে প্রায় ১৮২৬ পয়েন্ট। ভারতে বিদেশি লগ্নিসংস্থাগুলির লাগাতার শেয়ার বিক্রি(চার দিনে ২১,১৫১.৯০ কোটি টাকা) ডলারের চাহিদা বাড়িয়ে দামকে ঠেলে তুলছে। পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক জানান, আমেরিকার বিকল্প বাজার না পেলে উপচে পড়া রফতানি পণ্য উৎপাদনে কোপ ফেলবে। অন্য দিকে উৎপাদন কমতে পারে টাকার চড়া দামে বেড়ে যাওয়া আমদানির খরচেও। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে।
মিরে অ্যাসেট শেয়ারখানের বিদেশি মুদ্রা ও পণ্য লেনদেনের বিশ্লেষক অনুজ চৌধরীর আশঙ্কা, ভারতে বিদেশি লগ্নির প্রস্থান বহাল থাকলে টাকা আরও দুর্বল হতে পারে। তবে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ কমালে ডলারের দাম কমতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হলেও বাজারের হাল ফিরতে পারে। যা তিন দিন টানা পড়ায় ১১.২১ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ কমেছে।
আশঙ্কা
আমেরিকার চড়া শুল্কে ধাক্কা খেতে পারে রফতানি।
ডলারের সাপেক্ষে টাকার পতন বাড়াতে পারে আমদানি খরচ।
দু’ক্ষেত্রেই ধাক্কা খেতে পারে দেশীয় উৎপাদন।
সোনার দাম লগ্নিকারীদের ভাল রিটার্ন দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মানুষ বিয়ের গয়নার প্রয়োজন মেটাতে ঘরের জমানো সোনা ভাঙছেন।
বাড়ছে সোনা বন্ধ রেখে ঋণের প্রবণতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ মেয়াদে সাধারণত দর কমে না সোনার। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতা কমায় বাড়ির সোনা বিক্রি, স্বর্ণঋণ বহু মানুষের ক্ষতি হতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)