দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে পঞ্চম দফার আলোচনা শেষ। সূত্রের খবর, গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দফতরের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে দর কষাকষি চালিয়ে দেশে ফেরার পথ ধরেছে। মতের ফারাকগুলি মিটিয়ে ১ অগস্টের মধ্যে অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করাই ছিল এ বারের লক্ষ্য। কারণ, ওই দিন পাকাপাকি ভাবে বিভিন্ন দেশের উপরে শুল্ক বসছে বলে হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে প্রশ্ন, কৃষিপণ্য, গাড়ি, দুধ এবং দুগ্ধজাত সামগ্রীর মতো বিষয়ে দু’দেশ একমত হতে পারল কি? ট্রাম্পের শুল্ক এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত চুক্তি হচ্ছে? তড়িঘড়ি প্রথম দফার চুক্তি সারতে নয়াদিল্লিকে দেশের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে আপস করতে হল না তো?
সরকারের তরফে স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি শনিবার রাত পর্যন্ত। তবে এ দিনই বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, ‘‘আমাদের আলোচনা চলেছে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে। নরেন্দ্র মোদীর সরকার তার সঙ্গে আপস করার অনুমোদন দেবে না।’’
আমেরিকা চায় ভারত কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুধজাত পণ্যের বাজার তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক। কিন্তু তাতে নারাজ নয়াদিল্লি। অন্য দিকে ভারত দরবার করছে এ দেশের পণ্য থেকে ২৬%, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর থেকে ৫০% এবং গাড়ির উপর থেকে ২৫% শুল্ক তুলে নিক ওয়াশিংটন। সূত্রের দাবি, পঞ্চম দফার দর কষাকষিতে মূলত ছিল কৃষি, গাড়ির মতো পণ্যগুলি ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতাই।
যা ঘটেছে
বিভিন্ন দেশের পণ্যে ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের ক্ষেত্রে তা ২৬%।
তবে তা স্থগিত করেন ৯০ দিনের জন্য। উদ্দেশ্য, দেশগুলিকে চুক্তি করতে বাধ্য করা।
দ্রুত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সারতে মরিয়া মোদী সরকার আমেরিকায় প্রতিনিধি দল পাঠায়।
৯ জুলাই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে চুক্তির জন্য সময় দিয়ে ট্রাম্প শুল্ক বসানোর সময় পিছিয়ে করেছেন ১ অগস্ট।
আমেরিকার সঙ্গে অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি ফের সে দেশে গিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রকের দল।
পঞ্চম দফা আলোচনা শেষ করে দেশে ফিরছে তারা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)