এক দিকে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের ফের সুদ কমানোর ইঙ্গিত এবং বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজারের উত্থান। অন্য দিকে ভারতেও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ ছাঁটাইয়ের পথ চওড়া হওয়া এবং ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বৈঠক। সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে ভারতের বাজারে ফিরে আসা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সব মিলিয়ে একাধিক অনুকূল শর্ত ঘিরে রেখেছে অর্থনীতিকে। আর তার প্রভাবেই কোণঠাসা অবস্থা থেকে টানা দু’দিন বড় উত্থান দেখল শেয়ার বাজার। মাথা তুলল ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও।
বৃহস্পতিবার সেনসেক্স ৮৬২.২৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮৩,৪৬৭.৬৬ অঙ্কে পৌঁছেছে। একটা সময়ে ১০১০.০৫ উঠেছিল। দু’দিনে মোট উত্থান ১৪৩৭.৬৮। নিফ্টি-ও এ দিন ২৬১.৭৫ পয়েন্ট উঠে হয়েছে ২৫,৫৮৫.৩০। এক ডলারের দাম ১২ পয়সা কমে হয়েছে ৮৭.৯৬ টাকা। টানা দু’দিনে আমেরিকার মুদ্রা কমেছে ৮৫ পয়সা। দীর্ঘ দিন ধরে লাগাতার হারাতে থাকা জমির কিছুটা উদ্ধার করলভারতীয় মুদ্রা।
পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক অবশ্য বলছেন, ‘‘টাকা ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখালেও তা ফের পড়বে না, এমনটা বলার সময় আসেনি। ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা ও বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলি আগামী দিনে তার গতিপথ নির্ধারণ করবে।’’ বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, ‘‘বাজার কয়েকটি বিষয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তার মধ্যে রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বৈঠক, চাহিদা বৃদ্ধির ফলে শিল্পোৎপাদন উৎসাহিত হওয়া এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলে তার ইতিবাচক প্রভাবের সম্ভাবনা। কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাজারে অস্থিরতাবজায় থাকবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)