মার্চে দেশে বেকারত্বের হার আবার উঠেছে ৭.৮ শতাংশে। প্রতীকী ছবি।
কোভিডের প্রভাব কাটিয়ে পুরোদমে চলছে কাজকর্ম। কেন্দ্রের দাবি, ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দ্রুত। বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় পরিস্থিতি ভাল। কিন্তু তার পরেও কাজের বাজার যে নিশ্চিন্ত হওয়ার জায়গায় পৌঁছোয়নি, সেটা ফের স্পষ্ট হল উপদেষ্টা সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআই) পরিসংখ্যানে। সেখানে দেখা গিয়েছে, মার্চে দেশে বেকারত্বের হার আবার উঠেছে ৭.৮ শতাংশে। যা তিন মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি। গ্রামেও তা তিন মাসে সর্বোচ্চ। আর শহরে ফের সাড়ে ৮ শতাংশ পার।
সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাসের দাবি, ভারতের শ্রম বাজার গত মাসে খারাপ হয়েছে। তার উপর সামান্য হলেও চাকরি খোঁজার লোক কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে কাজের বাজারে অংশগ্রহণের হার ছিল ৩৯.৯%। মার্চে হয়েছে ৩৯.৮%। ফলে কর্মসংস্থানও ৩৬.৯% থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৭%।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, বিশ্ব বাজারের সঙ্কট না কাটা পর্যন্ত এই ওঠাপড়া চলবে। দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার এখনও চড়া। লাগাতার সুদের হার বাড়ায় ধার নিতে শিল্পে সংস্থাগুলির খরচ হচ্ছে বেশি। ফলে বহু সংস্থাই নিয়োগ স্থগিত রেখেছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে হলে বেকারত্বের হার কমানোর ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, রোজগার বাড়লে তবেই খরচ বাড়বে। ফিরবে চাহিদা।
সিএমআইই বলেছে, বেকারত্ব সর্বোচ্চ হরিয়ানাতে, ২৬.৪%। সর্বনিম্ন উত্তরাখণ্ড এবং ছত্তিসগঢ়ে, ০.৮%। পশ্চিমবঙ্গে ৪.৮%। নিয়োগ সংস্থা সিআইইএল এইচ আর সার্ভিসেস-এর সিইও আদিত্য মিশ্র বলছেন, উৎসবের মরসুমের পরে অক্টোবর-জানুয়ারিতে খুচরো বাজার, জোগান, পণ্য পরিবহণ, আর্থিক পরিষেবা এবং অনলাইন বাজারে কর্মসংস্থান কমেছে। বহু তথ্যপ্রযুক্তি এবং নতুন সংস্থাতেও (স্টার্ট আপ) শ্লথ হয়েছে নিয়োগ। এ ছাড়া, মার্চ অর্থবর্ষের শেষ এবং পরীক্ষার মাস। পর্যটন, বিনোদন, হোটেল বা আতিথেয়তার মতো ক্ষেত্রগুলিতে চাহিদা থাকে ফিকে। ফলে কাজ কমেছে। টিমলিজ় সার্ভিসেস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঋতুপর্ণা চক্রবর্তীর বক্তব্য, এটা বর্তমান আর্থিক পরিবেশে উদ্বেগেরই প্রতিফলন। সংস্থাগুলি পদক্ষেপ করছে সতর্ক হয়ে। তাই নিয়োগ শ্লথ। সকলের আশঙ্কা বিশ্ব জোড়া সঙ্কট যে কোনও মুহূর্তে ভারতে ধাক্কা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy