E-Paper

সর্বনিম্ন টাকা, হস্তক্ষেপ চান বিশেষজ্ঞেরা

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৯০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই তেল কিনতে ডলার খরচ হচ্ছে বেশি। ফলে চাহিদা বৃদ্ধির জেরেই আমেরিকার মুদ্রার শক্তি বাড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩২
An image of Dollar and Money

—প্রতীকী চিত্র।

ডলারের নিরিখে আরও পড়ল টাকার দাম। নামল ঐতিহাসিক তলানিতে। শেয়ার বাজার অবশ্য ঊর্ধ্বমুখী।

বিশ্ব বাজারের দুর্বলতা, অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি, ভারতের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার পুঁজি প্রত্যাহার-সহ বিভিন্ন কারণে ভর করে গত কয়েক দিন ধরে ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে আমেরিকার মুদ্রা। মঙ্গলবার তা ৮৩ টাকা পার করে ফেলে। আর বুধবার ডলারের দাম ৯ পয়সা বেড়ে ৮৩.১৩ টাকায় পৌঁছে যায়। এই প্রথম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, টাকার এই পতন ঠেকাতে সরকার ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হতে পারে। অন্য দিকে, সেনসেক্স ১০০.২৬ পয়েন্ট উঠে ৬৫,৮৮০.৫২ অঙ্কে পৌঁছেছে। নিফ্‌টি ৩৬.১৫ পয়েন্ট উঠে হয়েছে ১৯,৬১১.০৫।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৯০ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই তেল কিনতে ডলার খরচ হচ্ছে বেশি। ফলে চাহিদা বৃদ্ধির জেরেই আমেরিকার মুদ্রার শক্তি বাড়ছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের মতে, জি২০ সম্মেলনের আগে টাকার পতন অস্বস্তিকর। তাঁর কথায়, ‘‘সম্প্রতি ভারতের রফতানি কমেছে। ফলে চলতি খাতে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। সেটাও ডলারের নিরিখে টাকার পতনের অন্যতম কারণ। আগামী দিনে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। তখন টাকার দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’’ পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের ব্যাখ্যা, আমেরিকায় ঋণপত্রের ইল্ড বৃদ্ধির প্রভাবও পড়ছে টাকার দামে। অশোধিত তেলের দাম কমলে অবস্থা খানিকটা স্বাভাবিক হতে পারে। তবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপও জরুরি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

US Dollars indian currency India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy