পশ্চিমবঙ্গ থেকে সড়কপথে ট্রাকের মাধ্যমে পাথর কুচি, বোল্ডার ছাড়াও পচনশীল নানা পণ্য রফতানি হয় বাংলাদেশে। সেখানকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লেটার অব ক্রেডিটের (ঋণ মঞ্জুরির আগাম চিঠি) মাধ্যমে ওই বাণিজ্য চলত। কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত এক-দেড় বছর ধরেই ধাক্কা খাচ্ছে পড়শি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য। যে কারণে ওই পদ্ধতি থেকে সরে এসে ব্যবসায়ীরা নগদ লেনদেনে নির্ভরতা বাড়িয়েছেন বলে বিভিন্ন ট্রাক মালিক সংগঠন সূত্রের খবর। তাদের বক্তব্য, পণ্য রফতানির পরে টাকা না পাওয়ায় হওয়া আর্থিক লোকসান এড়াতেই এই পথ বাছছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এর ফলও হয়েছে উল্টো। নগদ লেনদেন বৃদ্ধির ফলে রফতানি অস্বাভাবিক কমে গিয়েছে।
এ দিকে ভারতের ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট ও ভূমি-শুল্ক স্টেশন পেরিয়ে সীমান্তে বাংলাদেশের গুদামে পণ্য পৌঁছে দিতে ‘সুবিধা’ পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যকে কর দিতে হয়। করের বোঝা কমাতে সম্প্রতি অর্থ দফতরের সম্মতিক্রমে নির্দেশিকা জারি করেছে পরিবহণ দফতর। গাড়িপিছু তা ১৮০-২২৫০ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে ওই করের উপরে পরিষেবা বাবদ জিএসটি আদায়ও কমবে। তবে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, খরচ কমায় পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে। তাতে বাণিজ্য চাঙ্গা হবে। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, ‘‘খরচ আরও কমলে ভাল হত।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)