বাজারে ২০০০ টাকার নোট এখন রয়েছে সামান্যই। তবে তা এখনও বৈধ। বিনিময়ের আইনি মাধ্যম। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা স্পষ্ট করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। অবশ্য এর বাইরে কোনও ব্যাখ্যা তারা দেয়নি।
২০০০ টাকার নোট ছাপানো দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। গত বছর ১৯ মে বাজারে থাকা সেই নোটও তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তখন থেকে গত ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শাখায় ওই নোট অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া বা বদল করে নেওয়া যাচ্ছিল। বদলের কাজ সারা যাচ্ছিল দেশের বিভিন্ন শহরে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ১৯টি শাখাতেও। ব্যাঙ্কে সেই সুবিধার সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আরবিআইয়ের নির্দিষ্ট ওই সব শাখায় এখনও ২০০০-এর নোট বদলে নেওয়ার প্রক্রিয়া যথারীতি চলছে। আর গত ৯ অক্টোবর থেকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের শাখাগুলির মাধ্যমে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নোট জমাও করতে পারছেন ব্যক্তি কিংবা সংস্থা। সেই সঙ্গে এ দেশে বসবাসকারী যে কোনও নাগরিক ভারতীয় ডাক বিভাগের ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে ওই সমস্ত শাখায় ২০০০ টাকার নোট পাঠিয়ে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা জমা করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার সময়ে বাজারে মোট ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট ছিল। গত ২৯ ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ৯৭.৩৮% নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া গিয়েছে। তবে এই সব কিছুর সঙ্গেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট এখনও বিনিময়ের বৈধ মাধ্যম।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)