দেশের জিডিপি-তে গাড়ি শিল্পের অংশীদারি উল্লেখযোগ্য।
কখনও চাহিদায় টান তো কখনও যন্ত্রাংশের জোগানে ঘাটতির জেরে চাহিদা মতো গাড়ি তৈরিতে বাধা। করোনাকালের আগে থেকেই দেশে অর্থনীতির ঝিমুনির প্রভাবে বিপর্যস্ত এই শিল্প নানা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে চলেছে। এই অবস্থায় শুক্রবার গাড়ি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের দাবি, জুলাইয়ে ডিলারদের কাছে সংস্থাগুলির গাড়ি বিক্রি (পাইকারি বাজার) গত বছরের থেকে বাড়লেও, ব্যবসা নিয়ে সংশয় বহাল। কারণ, সুদের হার বাড়ায় কম দামি গাড়ি বাজারের পুনরুজ্জীবন ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা। দু’চাকা ও তিন চাকার বিক্রিও বহু বছর পিছিয়ে।
দেশের জিডিপি-তে গাড়ি শিল্পের অংশীদারি উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রচুর কাজ তৈরি হয়। কিন্তু অতিমারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ যন্ত্রাংশের জোগানে ধাক্কা দিয়েছে। চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে উপাদানের খরচ বাড়ায় গাড়ির দাম হয়েছে। আবার মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে সুদ বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে গাড়িঋণের খরচ। সিয়ামের ডিজি রাজেশ মেনন শুক্রবার বলেন, ‘‘চড়া সুদ কম দামি গাড়ির বাজারের চাঙ্গা হওয়াকে কঠিন করে তুলবে।’’
প্রতি মাসেই সিয়াম জানায় কোন গাড়ির বিক্রি কত পিছিয়ে। গত মাসে যাত্রিবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে সেই ছবিটা স্পষ্ট করেনি তারা। তবে মেনন জানান, দু’চাকা এবং তিন চাকার বিক্রি যথাক্রমে ২০১৬ ও ২০০৬ সালের চেয়েও পিছিয়ে।
তেলের চড়া দরও চাহিদায় কিছুটা ধাক্কা দিয়েছিল। সেই সমস্যা এড়াতে কেন্দ্র সিএনজি ব্যবহারে জোর দিয়েছে। ফলে সেই জ্বালানির গাড়ির বাজার ধরতে ঝাঁপাচ্ছিল সংস্থাগুলি। কিন্তু তাতেও বাদ সাধে সিএনজি-র ঊর্ধ্বমুখী দর। সরকার অবশ্য সম্প্রতি দেশে উত্তোলিত সিএনজি-র জোগান বাড়িয়ে দামে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে। গাড়ি শিল্প সেই দিকেই তাকিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy