চায়ের গুণমান ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) মাপকাঠি অনুযায়ী রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে দেশে তৈরি এবং আমদানি করা চায়ের নমুনা পরীক্ষায় আরও জোর দেওয়া হবে। শনিবার কলকাতায় চা শিল্পের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
এ দিনের বৈঠকে টি বোর্ডের কর্তারা এবং বড় বাগানের পাশাপাশি ক্ষুদ্র চা চাষিদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের সমস্যা ও চা শিল্পের প্রসারে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। সূত্রের খবর, চায়ের মান নিয়ে আলোচনায় পীযূষ জানান, আচমকা সব ধরনের চায়ের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। আরও পরীক্ষাগার ও যন্ত্রের প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দু’য়েক আগেই টি বোর্ড চা শিল্প মহলকে জানিয়েছিল, গত বছর বৈঠকে এফএসএসএআই কর্তৃপক্ষ চায়ে কিছু নিষিদ্ধ রাসায়নিক ও কীটনাশকের উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন। তা যাতে না হয়, সে জন্য বাগানগুলিকে সতর্কও করেছিল পর্ষদ।
এ দিন ক্ষুদ্র চা চাষিরা প্রধানমন্ত্রী কৃষি কল্যাণের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁদের সংগঠন সিস্টার প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর দাবি, সে নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন পীযূষ।
শিল্পের একাংশ বৈঠকে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাগান বন্ধের সওয়াল করেন। তাদের বক্তব্য, শীতে তৈরি চায়ের গুণগত মান ভাল হয় না।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)