আজ, বুধবার থেকে দু’দিন জিএসটি সংক্রান্ত তিন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পেশ করবেন নিজের বক্তব্য। মন্ত্রিগোষ্ঠীগুলি হল করের হার পুনর্গঠন, রাজ্যের ক্ষতিপূরণ সেস এবং বিমা সংক্রান্ত। সরকারি মহলের ব্যাখ্যা, মন্ত্রিগোষ্ঠীগুলি তৈরি হয় নির্দিষ্ট কোনও বিষয়কে বিশ্লেষণ করে সে সম্পর্কে সুপারিশ জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে। জিএসটি পরিষদের তৈরি এই তিন মন্ত্রিগোষ্ঠীও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু তাদের সামনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরাসরি বক্তব্য পেশের তাৎপর্য আলাদা।
বৈঠকগুলিতে পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যোগ দিচ্ছেন। সূত্রের খবর, জিএসটির হার সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে কেন্দ্র নিজেদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেখানে করের বিপ্রতীপ কাঠামো সংশোধন, বিবাদের মীমাংসা, করের ধাপ কমানো, ক্ষতিপূরণ সেস বিলোপ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। এমনিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে থাকতে পারেন না। ফলে তিনি আলাদা ভাবে বক্তব্য পেশ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, দিওয়ালির আগে জিএসটির স্তরকে দু’টিতে নামিয়ে আনা হবে। অত্যাবশ্যক পণ্য ও পরিষেবা পড়বে ৫ শতাংশের স্তরে, বাকি সমস্ত কিছুতে ১৮%। কেন্দ্রের বক্তব্য, এতে সাধারণ মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকবে। কেনাকাটি বেড়ে চাঙ্গা হবে বাজার। কিন্তু এই অবস্থায় রাজ্যগুলি কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের অবশ্য যুক্তি, জিএসটি পরিষদে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই পক্ষের প্রতিনিধিত্ব সমান। সংগ্রহ হওয়া জিএসটি বণ্টনও হয় সমান ভাগে। ফলে পরিষদের সিদ্ধান্তের ফলে কর সংগ্রহ বাড়লে বা কমলে ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন আসছে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)