সম্প্রতি বিতর্ক দানা বেঁধেছে ২০% ইথানল মেশানো ‘ই-২০’ পেট্রল নিয়ে। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, কেন্দ্র এই তেল ব্যবহারের জন্য চাপ দিলেও এতে গাড়ির মাইলেজ অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানিতে নির্দিষ্ট পথ চলার ক্ষমতা কমে যাবে। কমে আসবে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ব্যবহারের যোগ্য থাকার মেয়াদও। একাংশ আঙুল তুলছে জ্বালানিটির সুরক্ষার দিকে। বৃহস্পতিবার সব অভিযোগ উড়িয়ে অভিযোগকারীদের পাল্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তাঁর দাবি, এই সব বিরোধিতা করা হচ্ছে পরিকল্পনা করে এবং অর্থের বিনিময়ে।
গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের এক অনুষ্ঠানে ‘ই-২০’ বিরোধীদের উদ্দেশে গডকড়ীর তোপ, এর পিছনে শক্তিশালী পেট্রল লবির হাত রয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব ক্ষেত্রেই লবি থাকে। পেট্রল লবি খুব শক্তিশালী এবং ধনী। সেখান থেকে টাকা নিয়ে আমার এবং সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত মামলা ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে।’’ যদিও পেট্রল লবি, অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-এ সরকার ই-২০ জ্বালানি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। এতে ৮০% পেট্রলের সঙ্গে ২০% ইথানল মেশানো হয়। এই ইথানল পাওয়া যায় আখ, ভুট্টা থেকে। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে দেশের আমদানির খাতে খরচ কমবে। জ্বালানিতে কিছুটা স্বনির্ভরও হওয়া যাবে। কিন্তু সরকারের সেই লক্ষ্যে ধাক্কা দিচ্ছে ভারতীয় পাম্পে ই-২০ পেট্রল চালুর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা। এ দিন গডকড়ীর দাবি, এই জ্বালানিতে মাইলেজ বা গাড়ির যন্ত্রাংশের মেয়াদ কমে যাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। বরং বর্তমান পরিস্থিতিতে জৈব, হাইড্রোজেন, ব্যাটারির মতো জ্বালানিতে জোর দেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-২০ মাইলেজ কমাতে পারে ২-৪ শতাংশ। কিন্তু বাকি আশঙ্কা মনগড়া।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)