—প্রতীকী ছবি।
আমেরিকা ও চিনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধের জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছে চিনের অর্থনীতি। চাহিদা কমার পাশাপাশি কমেছে সে দেশের কলকারখানার উৎপাদন। বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের রেষারেষির বিরূপ প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির উপরেও। শুল্ক যুদ্ধের সমাধানে আগামী সপ্তাহেই বেজিং যাচ্ছে আমেরিকার সরকারি প্রতিনিধি দল। এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করছেন, চিনের বিপত্তি যত বাড়বে, দরাদরিতে ততই সুবিধা হবে তাঁদের। তিনি বলেন, ‘‘চিনের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। ফলে (দর কষাকষিতে) আমরা পোক্ত জায়গায়। আমাদের আর্থিক পরিস্থিতিও এখন ভাল।’’
গত বছর পরস্পরের উপরে মোটা অঙ্কের আমদানি শুল্ক চাপিয়েছিল দুই দেশই। ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে তাঁদের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত না কমালে এবং বাণিজ্য নিয়ে চিন নিজের অবস্থান থেকে না সরলে সে দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপরে কর চাপানো হবে। এর পরে জুলাই থেকে দফায় দফায় চিনা পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক চাপায় আমেরিকা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাঘাতের রাস্তায় হাঁটে চিনও। তবে এতে চিনের অর্থনীতি ধাক্কা খেলেও বেজিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ঘাটতি আরও বেড়ে যায় ওয়াশিংটনের। অন্য দিকে, শিল্প ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে এই সময়ের মধ্যে একাধিক পদক্ষেপ করতে হয়েছে চিনকে। শিল্প সংস্থাগুলি যাতে সহজে ঋণ পায়, তার জন্যও কিছু পদক্ষেপ করেছে তারা।
এই অবস্থায় গত মাসে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ঠিক হয়, আপাতত ৯০ দিন কোনও পক্ষই আর নতুন করে শুল্ক চাপাবে না। আগামী সপ্তাহে বেজিং যাচ্ছে মার্কিন প্রতিনিধি দল। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘চিনের সঙ্গে বোঝাপড়ার বিষয়ে আশাবাদী। যদি ব্যর্থ হই, তা হলেও ওদের থেকে মোটা অঙ্কের আমদানি শুল্ক আদায় হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy