Advertisement
E-Paper

শুল্ক যুদ্ধে ফের তেতো হচ্ছে কথার লড়াইও

আমেরিকার অভিযোগ, আগে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়ে বেশ কিছু বিষয় মেনে নিলেও, পরে তা নিয়ে বেঁকে বসেছে বেজিং।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০৩:০৬

এক দিকে শুল্ক যুদ্ধের দামামা ও অন্য দিকে চুক্তিতে পৌঁছতে আলোচনা। চিন-মার্কিন বাণিজ্যিক সম্পর্কের ছবি শুক্রবার ছিল এ রকমই। আজই ভারতীয় সময় সকালে আগের ঘোষণা মতো ২০ হাজার কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। পাল্টা হিসেবে চিনও ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি দিয়েছে। আবার এ দিনই বিকেলে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে আলোচনায় বসেছেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। ট্রাম্পের যদিও দাবি, চিনের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য তিনি ব্যস্ত নন। বরং চুক্তির চেয়ে নতুন করে চাপানো এই শুল্ক থেকে মার্কিন অর্থনীতি বেশি লাভবান হবে।

আমেরিকার অভিযোগ, আগে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়ে বেশ কিছু বিষয় মেনে নিলেও, পরে তা নিয়ে বেঁকে বসেছে বেজিং। যে কারণে গত রবিবার চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানো ও নতুন করে কর চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ‘‘(চিনের) যে সমস্ত পণ্যে এখন ১০% কর বসে, তা বেড়ে হচ্ছে ২৫%। এ ছাড়া, এখনও আমেরিকায় আসা ৩২,৫০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বসে না। শীঘ্রই ২৫% হারে কর বসবে সেখানে।’’ সেই অনুসারে শুক্রবার থেকে নতুন কর বসেছে।

এতে মার্কিন অর্থনীতি লাভবান হবে বলে ট্রাম্প দাবি করলেও, তা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, এতে উল্টে মার্কিন ক্রেতাদেরই বেশি টাকা খরচ করতে হবে। বিশেষ করে দাম বাড়তে পারে পোশাক, জুতোর মতো পণ্যের। তার উপরে চিন নতুন করে কোনও পদক্ষেপ নিলে মার্কিন সংস্থাগুলির ব্যবসাও বেশ খানিকটা ধাক্কা খেতে পারে।

আজ রেটিং সংস্থা মুডি’জ বলেছে, শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে আগামী দিনে কালো ছায়া ফেলবে। তার উপরে শুক্রবারই দেশের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আমেরিকায় চায়না মোবাইলের ব্যবসা চালুর আবেদনও ট্রাম্প প্রশাসন খারিজ করে দিয়েছে। এতে দু’দেশের সম্পর্ক আরও তেতো হতে পারে।

USA China Trade War
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy