সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনিভায় চিনের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে আমেরিকা জানাল, আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। রবিবার হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সোমবার সবিস্তারে আরও তথ্য জানানো হবে।
গত শনিবার বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য বৈঠক শুরু হয়। আমেরিকার পক্ষে যোগ দেন অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। চিনের উপ প্রধানমন্ত্রী হি লিপেং এবং আরও দুই মন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকের শেষে সুইৎজ়ারল্যান্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেসেন্ট বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘চিনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কাল (সোমবার) আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছি। কথা বলেছেন গ্রিয়ারও। ফলে তিনি বৈঠকের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত।’’ গ্রিয়ারের বক্তব্য, শুরুতে পরিস্থিতি যতটা জটিল বলে ভাবা হয়েছিল, এখন তা মনে হচ্ছে না। যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে তার পরে আলোচনা হয়েছে। তাঁর আরও ইঙ্গিত, আমেরিকার বার্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি ১২০ কোটি ডলার। একে কমানোর লক্ষ্যেই ট্রাম্প শুল্ক সংক্রান্ত পদক্ষেপ করেছেন। ফলে অনেক দাবি আদায় করবেন তাঁরা।
আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লাটনিকের দাবি, আমেরিকা ১৪৫% এবং চিন ১২৫% আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে পরস্পরের উপরে। এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যে কার্যত বন্ধ, তা স্পষ্ট। ফলে দু’পক্ষই উত্তেজনা প্রশমিত করতে চাইছে। তাঁর আরও দাবি, তিন মাসে বেশ কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হবে। তবে কোনও দেশের নাম করেননি তিনি। শুল্ক যুদ্ধের কারণে বন্দর এবং ট্রাক কর্মীদের কাজ চলে যাচ্ছে, এমন খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি লাটনিকের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)