কথা হল। কিন্তু তবু দেখা মিলল না সমাধানের। আর তার পরেই বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপের পারদ ফের এক দফা চড়িয়ে আরও চিনা পণ্যে আমদানি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করল ওয়াশিংটন। পাল্টা হিসেবে মার্কিন মুলুককে দেখে নেওয়ার হুমকি ছুঁড়ল বেজিংও। তবে সমাধানসূত্রের খোঁজ করতে ফের আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি দু’পক্ষই।
ওয়াশিংটনে আসা চিনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা হওয়ার পরে এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লিগথিজার জানান, ‘‘চিনের বাকি সমস্ত পণ্যের উপরে শুল্ক বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’’ এর পরেই চিনের হুমকি, আমেরিকা এই পথে হাঁটলে পাল্টা দেওয়ার পথে হাঁটবে তারাও। তবে এরই মধ্যে সারা বিশ্বকে কিছুটা স্বস্তি জুগিয়ে ফের আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে দু’পক্ষই। পরের দফার বৈঠক সম্ভবত বেজিংয়ে।
গত সেপ্টেম্বরে ২০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে ১০% শুল্ক বসিয়েছিল আমেরিকা। ৫ মে ট্রাম্পের হুমকি ছিল, ১০ মে থেকে ওই হার বাড়িয়ে ২৫% করবেন তাঁরা। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‘(চিনের) যে সমস্ত পণ্যে এখন ১০% কর বসে, তা বেড়ে হচ্ছে ২৫%। এ ছাড়া, এখনও আমেরিকায় আসা ৩২,৫০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বসে না। শীঘ্রই ২৫% হারে কর বসবে সেখানেও।’’ সেই অনুযায়ী শুক্রবার থেকে করের হার বেড়েছে ওই ২০,০০০ কোটি ডলারের পণ্যে।
এ দিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় হুমকিও কার্যকর করার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বলেছে, নতুন করে কর চাপবে আরও প্রায় ৩০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে। সে ক্ষেত্রে মোবাইল, কম্পিউটার, জুতো সমেত বাকি প্রায় সমস্ত চিনা পণ্যই চলে আসবে মার্কিন শুল্কের আওতায়।
চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি বিপুল। অর্থাৎ, বেজিংয়ের থেকে ওয়াশিংটনে রফতানির তুলনায় ওয়াশিংটন থেকে বেজিংয়ে রফতানি অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এখন বদলা নিতে নতুন করে আর বড়জোর ১,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক চাপাতে পারে চিন। কিন্তু একই সঙ্গে তাদের আশঙ্কা, সমাধান না বেরোলে মার্কিন বিনিয়োগ ও ব্যবসার রাস্তাতেও বাধার দেওয়াল তুলতে পারে বেজিং। কঠিন হতে পারে সে দেশে মার্কিন বহুজাতিকগুলির ব্যবসা করা।
কিন্তু ট্রাম্প এই সমস্ত কথায় কান দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন চিনের সঙ্গে অসম বাণিজ্যে বছরে ৫০ হাজার কোটি ডলার করে হারিয়েছি। আর নয়।’’ আর নিজের দেশের সংস্থাগুলিকে তাঁর পরামর্শ, ‘‘এত সহজে কর ফাঁকি? তার থেকে বরং পণ্য তৈরি করুন আমেরিকার মাটিতেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy