E-Paper

থালির খরচ কবে কমবে, বহাল প্রশ্ন

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের ২৫.৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭.৫০ টাকা। এর কারণ বার্ষিক হিসাবে পেঁয়াজ এবং টোম্যাটোর যথাক্রমে ২৯% এবং ৩৮% মূল্যবৃদ্ধি। যদিও জানুয়ারির ২৮ টাকা থেকে নিরামিষ থালির খরচ একটু হলেও কমেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪২
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করছে কেন্দ্র। বলছে, অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগার কারণেই গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে ৮% ছাড়িয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি। গোটা অর্থবর্ষেও ৭.৬% ছুঁতে পারে হার। কিন্তু তার পরেও নিশ্চিন্ত করার জায়গায় নামছে না সাধারণ গৃহস্থের দু’বেলা পেট ভরানোর জন্য একেবারে সাধারণ খাওয়ার খরচ।

উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিল মার্কেট ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিসিস-এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত মাসে নিরামিষ থালি রান্নার খরচ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৭%। তবে সেই নিরিখে আমিষ থালির পড়েছে ৯% কম। যদিও তাতে নিশ্চিন্ত হওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ মুরগির মাংসের দাম হালে বেড়েছে। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে চড়েছে প্রায় ১০%। ফলে জানুয়ারির তুলনায় আমিষ থালি তৈরির খরচও গত মাসে চড়েছে।

দেশের সাধারণ গৃহস্থের খাওয়ার খাতে খরচের হিসাব সম্পর্কে ধারণা দিতেই ‘রুটি ভাতের হার’ (রোটি রাইস রেট) রিপোর্টটি প্রকাশ করে ক্রিসিল। সে জন্য তাদের নিরামিষ থালির মধ্যে ধরা হয় রুটি, আনাজ (পেঁয়াজ, টোম্যাটো, আলু ইত্যাদি), ভারত, ডাল, দই এবং স্যালাডের খরচ। যা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের ২৫.৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭.৫০ টাকা। এর কারণ বার্ষিক হিসাবে পেঁয়াজ এবং টোম্যাটোর যথাক্রমে ২৯% এবং ৩৮% মূল্যবৃদ্ধি। যদিও জানুয়ারির ২৮ টাকা থেকে নিরামিষ থালির খরচ একটু হলেও কমেছে।

অন্য দিকে, আমিষ থালি তৈরির ক্ষেত্রে ডালের বদলে রাখা হয় মুরগির মাংস। বাকি পদগুলি একই থাকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই থালি রান্না করতে খরচ হচ্ছিল ৫৯.২০ টাকা। এ বছর হয়েছে ৫৪ টাকা। তবে জানুয়ারির ৫২ টাকার থেকে তা বেশি। সমীক্ষা অনুযায়ী এই থালির সার্বিক খরচের অর্ধেক মাংস। গত বছরের চেয়ে ২০% কমেছে। কিন্তু জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মাংসের দাম ১০% বেড়েছে। কারণ অন্ধ্রপ্রদেশে বার্ড ফ্লু প্রকোপে দেশে জোগানে টান। অথচ চাহিদা বেড়েছে রমজান মাসের জন্য। যা দামকে ঠেলে তুলেছে।

ব্যবসায়ীদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলের দাবি, ফেব্রুয়ারিতে বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের দাম বেশি ছিল। যেমন— ডিম, রসুন, বেগুন, টোম্যাটো ইত্যাদির। এখন কমেছে। তবে পেঁয়াজ কমেনি। বরং বাড়তে পারে আরও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Food Inflation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy