—ফাইল চিত্র।
আদালত অবমাননার দায়ে বিজয় মাল্যকে দোষী সাব্যস্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মতে, নিজের সম্পত্তি বিষয়ে আদালতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন মাল্য। আগামী ১০ জুলাই মাল্যকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই দিন আদালতে হাজিরা না দিলে মাল্যর জেল বা জরিমানা অথবা দুটোই একসঙ্গে হতে পারে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি এ কে গয়াল এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এই রায় দেন।
বিজয় মাল্যর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কনসর্টিয়াম অব ব্যাঙ্কস। স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ওই আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, শীর্ষ আদালতকে প্রতারণা করেছেন মাল্য। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করার মামলা রুজু করা হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। ওই আবেদনে ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ ফার্ম ডিয়াজিও-র থেকে ৪ কোটি টাকা পাওয়া সত্ত্বেও তা দিয়ে ঋণ মেটানোর কোনও চেষ্টা করেননি মাল্য। বরং ওই টাকা তিনি নিজের ছেলেকে হস্তান্তর করেন। শীর্ষ আদালতের কাছে ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, ওই ৪ কোটি টাকা দিয়ে মাল্যকে ঋণের কিছুটা অংশ মেটানোর নির্দেশ দিক আদালত।
আরও পড়ুন
মামুলি ভারতীয় কৃষক থেকে বুর্জ খলিফায় ২২ অ্যাপার্টমেন্টের মালিক!
বিজয় মাল্যর বিরুদ্ধে কিংফিসার এয়ারলাইন্সের জন্য নেওয়া ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি-সহ একাধিক মামলা ঝুলছে। ব্যাঙ্কগুলির দাবি, ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবেই তা মেটাচ্ছেন না মাল্য। এ নিয়ে মাল্যর বিরুদ্ধে আদালতে হাজার পাতার চার্জশিটও দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। গত বছর মার্চে ব্রিটেনে পালিয়ে যান বিজয় মাল্য। এর পরই তাঁকে প্রত্যার্পণের চেষ্টা শুরু করে কেন্দ্র। গত ১৮ এপ্রিল মাল্যকে গ্রেফতার করেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দারা। কিন্তু, গ্রেফতারির ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই লন্ডনের আদালতে জামিন পেয়ে যান তিনি। সেই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ মে। এই আবহে গত সপ্তাহেই ফের মাল্যর প্রত্যার্পণ নিয়ে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার। দিল্লিতে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে এক বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনাও হয়। কারণ, ভারতের ধারণা ব্রিটেন ছেড়েও ফের পালানোর চেষ্টা করতে পারেন বিজয় মাল্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy