Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বাধীনতার সংঘাতে বিদায় বিরলেরও, পদ ছাড়লেন রাজন-উর্জিতের পথেই

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ডেপুটি গভর্নর হওয়ার পর থেকে বরাবরই রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে রাজনীতির ছোঁয়াচমুক্ত রাখার পক্ষে সওয়াল করতেন বিরল।

বিরল আচার্য। —ফাইল চিত্র।

বিরল আচার্য। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন 
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০৩:২২
Share: Save:

পরিচিত ছিলেন রঘুরাম রাজনের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে। মজা করে নিজেকে ‘গরিবের রঘুরাম রাজন’ও বলতেন তিনি। শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতার প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে ‘সংঘাতে’ গুরুর পথেই এ বার বিদায় নিলেন শিষ্য বিরল আচার্য। মেয়াদ শেষের ছ’মাস আগেই।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ডেপুটি গভর্নর হওয়ার পর থেকে বরাবরই রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে রাজনীতির ছোঁয়াচমুক্ত রাখার পক্ষে সওয়াল করতেন বিরল। মোদী সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাতও শুরু শীর্ষ ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের নাক গলানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি থেকে। যেখানে তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে মর্যাদা না দিলে বাজারের রোষের মুখে পড়তে হবে কেন্দ্রকে। তার পর থেকে তাঁকে নাগাড়ে বিঁধেছেন কখনও অর্থমন্ত্রী, কখনও অর্থসচিব আবার কখনও মন্ত্রকের পদস্থ অফিসাররা। কিন্তু ওই স্বাধীনতার বিষয়ে বরাবর একই রকম অনড় থেকে গিয়েছেন বিরল। তাই অনেকে বলছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে উর্জিত পটেলের বিদায়ের পরে তাঁর ডেপুটির বিদায়ও অবশ্যম্ভাবী ছিল।

সোমবার বিবৃতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের দাবি, ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিয়েছেন বিরল। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরল যে ধরনের আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন তাতে এমনিতেই সরকারের ‘বিরাগভাজন’ ছিলেন তিনি। সেই তিক্ততা ক্রমশ বাড়ছিল।

অনেকে মনে করাচ্ছেন, বিরল আসলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ছেড়েছেন আগেই। সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ হওয়ায় বিবৃতি দিতে হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির আমলে প্রতিভা, দক্ষতাকে অসম্মান করাটাই রীতি। তাদের বিশেষজ্ঞ নয়, হাতের পুতুল দরকার।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE