জার্মানি বনাম সুইডেন।
ফুটবলের মাঠে নয়, ভলভোর হাত ধরে এই লড়াই এখন ভারতে দামি গাড়ির বাজার দখলের মঞ্চে।
সার্বিক ভাবে ভারতে দামি গাড়ির বাজারের মাপ হয়তো এখনও তেমন চোখধাঁধানো নয়। কিন্তু যে গতিতে তা বাড়ছে, সেটি অবশ্যই নজরকাড়া। আর সেই কারণেই এই বাজারকে পাখির চোখ করছে বিভিন্ন গাড়ি সংস্থা। বিশেষত জার্মান বহুজাতিকগুলি। নিত্যনতুন গাড়ি এনে বাজার দখলের সেই লড়াইয়ে জার্মান সংস্থাগুলির সঙ্গে টক্কর নিতে এ বার তৈরি হচ্ছে সুইডিশ সংস্থা ভলভো।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে নিজেদের নতুন এসইউভি ‘এক্সসি৯০’-এর উপর থেকে পর্দা তুলল সংস্থাটির ভারতীয় শাখা ভলভো অটো ইন্ডিয়া। আবরণ উন্মোচন করে সংস্থাটি। এ মাসেই বাজার ধরতে নতুন ‘হ্যাচব্যাক’ গাড়ি প্রদর্শনেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
২০০৭ সালে ভারতে পা রাখার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি গাড়ির মডেল এ দেশে বিক্রি করেছে ভলভো। ২০১৪ সালে ভারতে ১,২০২টি গাড়ি বিক্রি করেছিল। এ বার সংস্থার আশা, সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ২,০০০টি। চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকেই ৪৮৭টি গাড়ি বিক্রি করছে সংস্থা। যা গত বছরের তুলনায় ১০০ শতাংশ বেশি বলে তাদের দাবি।
সংস্থা জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকেই ‘এক্সসি৯০’ বিক্রি শুরু করবে তারা। চলতি বছরে ৩৫০ থেকে ৪০০টি ওই গাড়ি বিক্রি হবে বলে তাদের আশা। দিল্লিতে দু’টি মডেলের দাম পড়বে ৬৪.৯ লক্ষ এবং ৭৭.৯ লক্ষ টাকা। সিটবেল্টের প্রথম ব্যবহারের কৃতিত্ব থাকা সংস্থাটির দাবি, যাত্রী সুরক্ষায় বরাবরই বাড়তি গুরুত্ব দেয় ভলভো। এই গাড়িতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে একগুচ্ছ বাড়তি সুবিধা।
ভারতের বাজারকে সম্ভাবনাময় বলে চিহ্নিত করা গাড়ি সংস্থাগুলি শুধু বড় বা মেট্রো শহরে নয়, চোখ রাখছে দেশের অপেক্ষাকৃত ছোট শহরের দিকে। ভলভোও এর ব্যতিক্রম নয়। এ মাসেই নতুন হ্যাচব্যাক ‘ভি৪০’ বাজারে আনতে পারে তারা। সেডান গাড়ি ‘এস৬০’-র পেট্রোলচালিত মডেলও এ বছর ভারতে বিক্রি শুরু করবে সংস্থাটি।
ভারতের বাজার ধরতে অন্যান্য দামি গাড়ি সংস্থা এ দেশেই যন্ত্রাংশ জুড়ে গাড়ি তৈরির পথে হেঁটে সাফল্য পেলেও, এখনই তা নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ ভলভো। এ নিয়ে হিন্দুস্তান মোটরস, জেনারেল মোটরস-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চলছে বলে খবর ছড়িয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় ভলভো।
‘এক্সসি৯০’-এর আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভলভো জানিয়েছিল, ভারতের বাজার তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গাড়ি তৈরির কারখানার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এ মাসে এ দেশে সংস্থার শীর্ষ পদে এসেছেন টম ভন বনসডর্ফ। এখন তাঁর ব্যবসা-কৌশলের দিকেই নজর সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy