এক দিকে রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির পায়ের তলার জমি শক্ত করা। অন্য দিকে প্রতি জেলার হস্তশিল্পকে আরও প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা। এই জোড়া লক্ষ্য পূরণেই সব জেলাসদরে একটি করে শপিং মল তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৩টি জেলায় এক একর করে জায়গা নিচ্ছে সরকার। সেখানে শপিং মল গড়তে পারবে যে কোনও সংস্থা। থাকবে দোকান, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ— সবই। তবে তার দু’টি তলা সরকাকে দিতে হবে, যেখানে বিক্রি হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি ও সংশ্লিষ্ট জেলার হস্তশিল্প পণ্য। রাজ্যের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই কাজ করা হবে।এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের আন্তর্জাতিক এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিফোন মারফত এই সব কথা জানান। বলেন, ‘‘এই যে শপিং ফেস্টিভ্যাল শুরু হল, তা প্রতি বছর নিয়ম করে হবে।’’
যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, শপিং ফেস্টিভ্যালে তেমন সাড়া মেলেনি। দেশের বাইরে থেকে দূর অস্ত্, যোগ দেয়নি ভিন্ রাজ্যের কোনও বড় সংস্থা। বিক্রিবাটাও ঝিমিয়ে। ব্যবসায়ী মহলের মতে, পুজোর বাজারে ভাটা দেখে এমন হওয়ার আশঙ্কা ছিলই। তবে প্রশংসিত হচ্ছে ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের প্যাভিলিয়ন। সেখানে সব জেলার হস্তশিল্প পণ্য, জিআই সামগ্রী, মিষ্টি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি পণ্য তুলে ধরা হয়েছে। উদ্বোধনে উপস্থিত এক শিল্পকর্তা অবশ্য বললেন, ‘‘শীতের হস্তশিল্প মেলা বা সরকারি আনুকূল্যে হওয়া মেলার সঙ্গে এর ফারাক নেই। একে আন্তর্জাতিক এক্সপো কেন বলা হচ্ছে, তা মাথায় ঢুকছে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)