বাজেটে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থার (এমএসএমই) সংজ্ঞা বদলে যাওয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণের বড় পরিকল্পনা করেছে দেশের ঢালাই শিল্প। লক্ষ্য, পাঁচ বছরে উৎপাদন দেড় গুণ বাড়ানো। তাদের দাবি, এর জন্য প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা লগ্নি হবে। টানা যাবে বিদেশি লগ্নিও। সব মিলিয়ে ঢালাই শিল্পের প্রসারে লাভবান হবে পশ্চিমবঙ্গ। কারণ, এখানেই দেশের ৬৫% ঢালাই কারখানা রয়েছে।
রবিবার কলকাতায় ঢালাই শিল্পের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘বাংলায় এখন ৫০০টি ঢালাই কারখানা রয়েছে। সিংহভাগই হাওড়ায়। তবে দূর্গাপুর ও আসানসোলও ঢালাই শিল্পের হাব হিসেবে গড়ে উঠছে।’’ ঢালাইয়ের জন্য
বিশ্ব জুড়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে বিশ্ব বংলা মেলা প্রাঙ্গনে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ফাউন্ড্রিমেন। প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট বি আগরওয়াল জানান, দেশ-বিদেশের প্রায় ১০০০ জন প্রতিনিধি এতে যোগ দিচ্ছেন। প্রদর্শনী চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জল সরবরাহের পাইপ, রেলের যন্ত্রাংশ, ম্যানহলের ঢাকনা-সহ ১.৪৫ কোটি টন ঢালাই পণ্য তৈরি হয় দেশে। ২০৩০-এর মধ্যে তা ২ কোটি টনে নেওয়াই লক্ষ্য, দাবি আন্তর্জাতিক ফাউন্ড্রি প্রদর্শনীর চেয়ারম্যান রবি সেহগালের। বলেন, ‘‘লক্ষ্যে পৌঁছতে বহু নতুন ঢালাই কারখানা তৈরি হবে। লগ্নি হবে প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা।’’ আগরওয়াল জানান, আগামী তিন বছরেই ২০০০ কোটি ঢালা হতে পারে।
ইন্ডিয়ান ফাউন্ড্রি কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বিজয় বেরিওয়াল বলেন, ‘‘রফতানি পণ্যের সিংহভাগই উৎপাদন করে এমএসএমই। ঢালাই শিল্পের ৮০% রয়েছে তাতে। তাই রফতানি বাড়াতে ঢালাই কারখানার আধুনিক হওয়া জরুরি। এমএসএমই-র সংজ্ঞা বদলানোয় পুঁজি আসবে। মাঝারি সংস্থায় টানা যাবে বিদেশি লগ্নিও।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)