গুজরাতে জমি দিতে বেঁকে বসেছেন স্থানীয় ফল চাষিরা। পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লি তৈরির জায়গা হিসেবে তাই অন্ধ্রপ্রদেশকে বেছে নিয়েছে ওয়েস্টিংহাউস। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের মিঠি বির্দি থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্প সরিয়ে শ্রীকাকুলামে নিয়ে যাচ্ছে জাপানি বহুজাতিক তোশিবা কর্পের সংস্থাটি। ৭-৮ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের আগে যা সাউথ ব্লককে কিছুটা স্বস্তি দেবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
দীর্ঘ দিন টালবাহানার পরে শেষ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে অসামরিক কাজে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের বিষয়ে চুক্তি করে আমেরিকা। কিন্তু তার পরেও পারমাণবিক বিদ্যুৎ তৈরিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দিক থেকে সাড়া মিলছিল না ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্ত নিয়ে মতানৈক্যের কারণে। কোনও কারণে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটলে, তার সম্পূর্ণ দায় ঘাড়ে নিয়ে ক্ষতিপূরণ জোগাতে রাজি হচ্ছিল না চুল্লি নির্মাতা সংস্থাগুলি। শেষ পর্যন্ত দিল্লির হস্তক্ষেপে সেই সমস্যা মেটে। এত কাঠখড় পোড়ানোর পরে শেষমেশ অন্ধ্রপ্রদেশে চুল্লি তৈরির পথ মসৃণ হওয়ায়, তা আগামী দিনে এই ক্ষেত্রে আরও বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেবে বলে অনেকের ধারণা।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল গুজরাতের মিঠি বর্দিতে ছ’টি চুল্লি তৈরি করবে ওয়েস্টিংহাউস। যার প্রতিটি উৎপাদন করবে ১,১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু স্থানীয় ফল চাষিরা বেঁকে বসায় তা এ বার সরছে অন্ধ্রপ্রদেশে।
কেন্দ্র ও অন্ধ্র সরকারের অফিসারদের দাবি, ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এনপিসিআইএল ২,০০০ একর জমি নিতে ইতিমধ্যেই টাকা মিটিয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব অজয় জৈনেরও দাবি, প্রায় এক দশক জমি অধিগ্রহণ আটকে থাকলেও এখন তা শেষের মুখে। ৯০% মালিকই জমি দিতে রাজি। তাঁরা টাকাও নিয়েছেন। আইনি জটিলতাও নেই। ২০১৭ সালে চুল্লি তৈরি শুরু হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy