প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেওয়ায় দেশজুড়ে হাহাকার পড়ে গিয়েছে। পুরনো নোট বদলানোর জন্য ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্কে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। নতুন টাকা তোলার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন এটিএমগুলিতে। কিন্তু সেখানেও পরিষেবা যেন থমকে গিয়েছে! এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকার যে নোট বাতিল করল সেগুলোর কী হবে?
বিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯০২৬.৬ কোটি নোট দেশের বাজারে ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে ২,২০৩ কোটি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। ৮ নভেম্বর সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার পরই অচল হয়ে গিয়েছে এই ২,২০৩ কোটি নোট। এই যে বিপুল পরিমাণ টাকা অচল হয়ে গেল, সেই নেটগুলোর ভবিষ্যত্ কী?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, বাতিল ৫০০ ও ১০০০ হাজার নোটগুলোকে কারেন্সি ভেরিফিকেশন অ্যান্ড প্রসেসিং সিস্টেম (সিপিভিএস) পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয় নোটগুলো আসল না নকল। ২০০৩-এ সিপিভিএস পদ্ধতি চালু করেন তত্কালীন আরবিআই গভর্নর বিমল জালান।
বাছাইয়ের পর সেই বাতিল আসল নোটগুলিকে কী করা হয়?
আরবিআই জানাচ্ছে, আসল নোটগুলিকে রিসাইক্লিং করে নতুন নোট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
সিপিভিএস পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার পর যে সব জাল নোট বেরিয়েছে, সেগুলোর কী হবে?
হয়ত ভাবতে পারেন সেগুলো পুড়িয়ে বা নষ্ট করে দেওয়া হয়। না, আরবিআই কিন্তু অন্য তথ্য দিয়েছে। সব জাল নোটগুলিকে কিন্তু পুড়িয়ে ফেলা হয় না। তার মধ্যে রিসাইক্লিং করে পেপারওয়েট, ক্যালেন্ডার বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। কিছু জাল নোট পুড়িয়ে চারকোল তৈরি করা হয়। টেন্ডার ডেকে সেগুলি বিক্রি করা হয়।
২০০১ পর্যন্ত ছেঁড়া ও বাতিল হয়ে যাওয়া নোটগুলি বাজার থেকে তুলে নিয়ে আরবিআই সেগুলো পুড়িয়ে ফেলত। কিন্তু এখন সে পদ্ধতি বাতিল হয়ে গিয়েছে।
অচল ও বাতিল নোটগুলির ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলি কী করে?
১৯৯০ পর্যন্ত ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড ওই নোটগুলিকে পুড়িয়ে ফেলত। কিন্তু পরে কমপোস্ড ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে নোটগুলোর প্রক্রিয়াকরণ করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল ব্যাঙ্ক বাতিল হওয়া নোটগুলিকে ছোট ছোট টুকরো করে সেগুলো স্যুভেনির হিসাবে বিক্রি করে। এ ছাড়া বিভিন্ন শৈল্পিক কাজেও নোটের টুকরোগুলোকে ব্যবহার করা হয়।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy