E-Paper

লগ্নি প্রস্তাব কম ছোট শিল্পে, রাজ্য দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানের সাফল্য

রাজ্যের ছোট শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্‌হার দাবি, এই ক্ষেত্রে কাজের বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের যুব সমাজের কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে কাজ করছেন, তার ফল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩৭
রাজ্য অবশ্য লগ্নি নয়, তুলে ধরছে ছোট শিল্পে কর্মসংস্থানের সাফল্যকেই।

রাজ্য অবশ্য লগ্নি নয়, তুলে ধরছে ছোট শিল্পে কর্মসংস্থানের সাফল্যকেই। —প্রতীকী চিত্র।

ছোট-মাঝারি শিল্পকে (এমএসএমই) বরাবরই আলাদা গুরুত্ব দেয় রাজ্য। বড় শিল্পের চেয়ে এই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ অনেকটা এগিয়ে বলে বারবার দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি সূত্রের খবর, চলতি বছর হওয়া বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (বিজিবিএস) আসা মোট লগ্নি প্রস্তাবের ২% এই ক্ষেত্রের। যা মোটেই ইতিবাচক নয় বলে দাবি শিল্পের একাংশের। রাজ্য অবশ্য লগ্নি নয়, তুলে ধরছে ছোট শিল্পে কর্মসংস্থানের সাফল্যকেই।

বিজিবিএস শেষে মমতা বলেছিলেন, শিল্প প্রস্তাব এসেছে ৪.৪০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে প্রস্তাবের অঙ্ক জানাননি তিনি। এমএসএমই দফতর সূত্রের খবর, ছোট শিল্পে সেই অঙ্ক ৮৭০০ কোটি টাকা। কাজ পাবেন ৬৮,০০০ জন। যদিও সেই হিসাবও বিক্ষিপ্ত। বস্ত্র শিল্পে ৭টি প্রকল্পের প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে তিনটি নতুন। ১৩টি প্লাস্টিক প্রকল্পে তা ২০০০ কোটির। রয়েছে আরও কিছু প্রস্তাব। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, লগ্নির অঙ্ক আশাপ্রদ নয়। আবার প্রতিরক্ষার মতো ক্ষেত্রে প্রস্তাব স্পষ্ট নয়।

রাজ্যের ছোট শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্‌হার দাবি, এই ক্ষেত্রে কাজের বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের যুব সমাজের কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে কাজ করছেন, তার ফল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে। দফতর সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের বিজিবিএসে এই খাতে লগ্নি প্রস্তাব এসেছিল ১১৪০ কোটির। কাজের সুযোগ ছিল ২৫ হাজারের। সচিব পর্যায়ের এক কর্তা জানান, শুধু বিজিবিএস নয়। তার আগে অনুষ্ঠিত সিনার্জি-তে শেষ দু’বছরে ৩৫,০০০ কোটি টাকার বেশি প্রস্তাব এসেছে।

কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের সংগঠনের ফ্যাকসি-র সভাপতি হিতাংশু কুমার গুহের মতে, নতুনের পাশাপাশি পুরনো সংস্থাগুলির লগ্নি প্রস্তাবও থাকে। তবে সব মিলিয়ে অঙ্ক বাড়া দরকার। আর অপর সংগঠন ফসমির সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এমএসএমই-তে লগ্নি কম হয়। কিন্তু কর্মসংস্থান অনেকটাই বেশি। তাই এই ক্ষেত্রকে লগ্নি নয়, কাজের দিক থেকে বিচার করাই যুক্তিযুক্ত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

MSME Small Industries

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy