দিল্লি থেকে দিঘা— রং এক। ফাইল চিত্র
দিল্লি থেকে দিঘা— ভারতীয় রেলের সব স্টেশনের নামই লেখা হয় হলুদ বোর্ডের উপরে কালো রং দিয়ে। যে কোনও প্লাটফর্মে গেলেই সেটা দেখা যায়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি সর্বত্র হলুদের উপরে কালো ব্যবহারের পিছনে কী রহস্য রয়েছে?
এই রং ব্যবহার চলে আসছে অনেক দিন ধরেই। আর পিছনে রয়েছে অনেক কারণ। প্রথমেই এই দুই রঙের ব্যবহার অত্যন্ত উজ্জ্বল করে তোলে স্টেশনের বোর্ডকে। অনেক দূর থেকেও স্পষ্ট দেখা এবং পড়া যায়। একই রকম কাজ করে কমলা, লাল এবং সবুজ। কিন্তু এই তিনটি রং সিগন্যাল ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণেই কমলা, লাল বা সবুজ আর আলাদা করে ব্যবহার করে না রেল।
উজ্জ্বল রঙের এই বোর্ড দ্রুত গতিতে চলা ট্রেনের যাত্রীরাও দেখতে এবং পড়তে পারেন। তবে স্টেশনের নাম পড়া গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ট্রেনের চালকদের কাছে এই বোর্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতগামী কোনও ট্রেন যখন কোনও স্টেশনে দাঁড়ায় না তখনও চালককে সতর্ক থাকতে হয়। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হর্ন বাজাতে হয়। সেই কারণে দূর থেকেই চালকের বুঝতে পারা উচিত যে ট্রেন কোনও স্টেশন পার করছে। এই কারণেও হলুদ-কালো রং সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
এ ছাড়াও এই দুই রঙের ব্যবহারের ফলে বৃষ্টি, কুয়াশা ঢাকা আবহাওয়া এবং আলো কম থাকলেও চালকদের স্টেশন বুঝতে সাহায্য করে। সাধারণ ভাবে যে কোনও রেল প্লাটফর্মের দুই প্রান্তে দু’টি বোর্ড থাকে। এর ফলে ট্রেনচালক স্টেশনের শুরু ও শেষ বুঝতে পারেন।
শুধু প্রযুক্তিগত কারণই নয়, হলুদ রংকে অনেকেই আনন্দ, বুদ্ধিমত্তা এবং শক্তির প্রতীক। এটাও প্লাটফর্মে হলুদ বোর্ড রাখার পিছনে একটা কারণ। তবে মূল বিষয় হল, যে কোনও রঙের তুলনায় আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য হলুদের বেশি। এ সব কারণেই স্কুল বাসের রংও হয় হলুদ। যাতে যে কোনও আবহাওয়ায় অনেক ভিড়ের মধ্যেও সেই গাড়ি আলাদা করে নজরে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy