ফাইল চিত্র।
দূরপাল্লার ট্রেনের পিছনে একটি ‘ক্রস’ চিহ্ন দেখা যায় সব সময়। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। আর রেল সূত্রে জানা সেই কারণগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এর আসল লক্ষ্য দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া।
এই ‘ক্রস’ চিহ্ন বুঝিয়ে দেয় এটিই ট্রেনের শেষ বগি। এর পরে আর কোনও বগি নেই। কোনও প্লাটফর্ম দিয়ে ট্রেনে চলে যাওয়ার পরে এই চিহ্ন দেখেই রেল কর্মীরা বুঝতে পারেন যে ট্রেনটির সব বগিই অক্ষত রয়েছে। কোনও বগি পথে আলাদা হয়ে যায়নি। ট্রেনটি যে অক্ষত রয়েছে তা এই চিহ্ন দেখে বোঝা হয় দিনের বেলাই। রাতে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ট্রেনের শেষ বগিতে একটি এলইডি আলো রাখা হয়। যেটি আবার দপদপ করে জ্বলতে, নিভতে থাকে। দূর থেকে যাতে লক্ষ্য করা যায় তাই এই ব্যবস্থা। শুধু দিনের আলো কমে যাওয়ার পরেও নয়, কুয়াশায় মোড়া আবহওয়া থাকলেও এই আলো রেলকর্মীদের নিরাপত্তার সঙ্কেত দেয়।
যদি কখনও দেখা যায় যে শেষ বগিতে ‘ক্রস’ চিহ্ন নেই তবে বুঝতে হবে ট্রেনটি স্বাভাবিক ভাবে চলছে না। ট্রেনটির কোনও বগি রাস্তায় আলাদা হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। তাই, যদি শেষ বগিতে ‘ক্রস’ চিহ্ন না দেখা যায় তবে সঙ্গে সঙ্গে রেল সতর্ক হতে পারে এবং আলাদা হয়ে যাওয়া বগির খোঁজ নেওয়া শুরু করে। এই বিষয়টা এতটাই জরুরি যে ‘ক্রস’ চিহ্ন, এলইডি আলো থাকার পাশাপাশি শেষ বগিতে ইংরেজিতে ‘এলভি’ লেখা থাকে। যার অর্থ— ‘লাস্ট ভেহিকল’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy