এক দিকে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার আরও নীচে নেমেছে। অন্য দিকে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আমেরিকার বসানো চড়া আমদানি শুল্ক রফতানিকে বাধার মুখে ফেলায় দেশের মধ্যে চাহিদা বাড়ানো জরুরি। এ জন্য আরও সুদ ছাঁটাই দরকার। শিল্পও চাইছে আরও কম খরচে পুঁজি। ঋণগ্রহীতারা চাইছেন পুজোর আগে সুদ আর একটু কমুক। নতুন ঋণের জন্যও অনেকে সুদ আরও কমার অপেক্ষায়। তবু বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, আসন্ন ঋণনীতিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার না-ও কমাতে পারে। অর্থাৎ রেপো রেট (যে সুদে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয়) অপরিবর্তিত থাকতে পারে ৫.৫ শতাংশে। অন্য অংশ অবশ্য এ বার সুদ কমবে বলে আশাবাদী।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে টানা তিনটি ঋণনীতিতে ১০০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছে আরবিআই। ঋণনীতি কমিটির অগস্টের বৈঠক শুরু সোমবার। সুদের হার ঘোষণা আগামী বুধবার। ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিস-এর মতে, কিছুটা সুদ কমানোর পরে এ বার সতর্ক হয়ে তা স্থির রাখতে পারে আরবিআই। কেয়ারএজ রেটিংস-এরও দাবি, আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে বিরাট আশঙ্কা দানা বাঁধেনি। আগের রেপো কমার সুবিধাও পুরোপুরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছয়নি। ফলে বর্তমান শুল্ক জটিলতার আবহে তারা সুদ স্থির রেখে পরিস্থিতি বোঝার জন্য অপেক্ষা করতে পারে।
তবে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের ধারণা, আমেরিকার শুল্ক জিডিপি বৃদ্ধিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। ফলে ফের ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমতে পারে। একই আশা ক্রিসিলের। সম্প্রতি কেন্দ্র বার্তা দিয়েছিল, সুদ আরও কমানোর জায়গা আছে। তবে আরবিআই গভর্নর আগেই বলেছেন, এ বার থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)