মোদী সরকার দাবি করে, উন্নয়নের রথে সওয়ার হয়েই ২০৪৭-এর মধ্যে ৩০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে ভারত। বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে দাবি, এই লক্ষ্য ছুঁতে হলে ভারতে আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কারে গতি আনা প্রয়োজন। জোর দিতে হবে শিল্পে বেসরকারি লগ্নি টানার ক্ষেত্রেও।
দেশে বেসরকারি লগ্নির খরা বহু দিন ধরে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শ্লথ চাহিদা তার অন্যতম কারণ। যে কারণে আয়কর ও জিএসটি কমিয়ে বিক্রিবাটা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদনে পুঁজি টানাও ছিল কেন্দ্রের অন্যতম লক্ষ্য। সংস্কার এবং সেই পুঁজির প্রয়োজনই তুলে ধরেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। যদিও ‘ফিনান্সিয়াল সেক্টর অ্যাসেসমেন্ট’ (এফএসএ) রিপোর্টে তারা স্বীকার করেছে, ভারতের সরকারি ডিজিটাল পরিকাঠামো ‘বিশ্ব মানের’। সরকারি প্রকল্পগুলি নারী-পুরুষ, সকলেরই আরও বেশি আর্থিক পরিষেবা পাওয়ার রাস্তা চওড়া করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কেরপরামর্শ, দেশে বিশেষত মহিলাদের অ্যাকাউন্টের ব্যবহার আরও বাড়ানো জরুরি। চেষ্টা করতে হবে, আরও বেশি মানুষ এবং ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থা যাতে নানা ধরনের আর্থিক পণ্য ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ‘ফিনান্সিয়াল সেক্টর অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম’ বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক ভান্ডারের (আইএমএফ) যৌথ উদ্যোগ। দেশের আর্থিক ক্ষেত্রের গভীরে গিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করে তারা। আইএমএফ প্রকাশ করে আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত রিপোর্ট আর বিশ্ব ব্যাঙ্ক আর্থিক ক্ষেত্র ভিত্তিক। গত ২০১০-এর সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ক্ষেত্রগুলির ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি বাধ্যতামূলক হয়েছে। এখন ভারত-সহ ৩২টি এলাকায় পাঁচ বছর পর পর তা হয় এবং আরও ১৫টিতে হয় প্রতি ১০ বছরে এক বার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)