প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য পাট উৎপাদক রাজ্যে মোট কত উৎপাদন হবে, প্রতি বছর তার আগাম হিসেব দেয় দু’টি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা। অথচ কাঁচা পাট উৎপাদন নিয়ে তাদের পরিসংখ্যানের মধ্যে থেকে যায় কিছুটা ফারাক। কৃষি মন্ত্রক এই সমস্যার উৎস খোঁজার দায়িত্ব এ বার দিয়েছে আর একটি প্রতিষ্ঠানকে, যারা পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসম— এই তিন রাজ্যে সমীক্ষা চালাবে। নবান্ন সূত্রের খবর, এ রাজ্যে তারা মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও কোচবিহার— এই চার জেলায় সমীক্ষা চালাবে।
প্রতি বছর পাট উৎপাদনের এই পরিসংখ্যান দেয় কৃষি মন্ত্রকের অধীন অর্থনৈতিক এবং পরিসংখ্যান দফতর (ডিপার্টমেন্ট অব ইকনমিক্স অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স বা ডিইএস) এবং পাট পরামর্শদাতা পর্ষদ (জুট অ্যাডভাইজরি বোর্ড বা জেএবি)। তাদেরই দেওয়া তথ্যের মধ্যে তফাত কেন হয় তার কারণ খুঁজে বার করতে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রক নিয়োগ করেছে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার স্ট্যাটিসটিক্স রিসার্চ ইন্সটিটিউট-কে। বস্তুত, এই তথ্য-বিভ্রান্তিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে পাট শিল্পমহলও মনে করছে। উৎপাদন বেশি হওয়ার খবর বাজারে ছড়ালে পাটের দামও অনেক সময়ে পড়ে যায়। ভোগেন চাষিরা। ফাটকা কারবার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
পাট শিল্পমহলের একটি অংশের দাবি, ডিইএস ও জেএবি যে-সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান দাখিল করে, সেখানে কোনও খামতি থেকেই হয়তো ফারাক তৈরি হয়। আবার অন্য মহল বলছে, হেক্টর পিছু উৎপাদন সব এলাকাতেই কম-বেশি এক হবে বলে ধরে নেওয়া হয়। বীজের মানের তারতম্যেও উৎপাদনে হেরফের হয়। এতেও হিসেবে ভুল হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে এগ্রিকালচার রিসার্চ ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা রাজ্যে আসছেন। প্রশাসন থেকে শুরু করে পাটশিল্পের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন। পাটশিল্প সূত্রে খবর, ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে ডিইএস ১০৩
লক্ষ বেল উৎপাদন হবে বলে জানায়। সেখানে জেএবি-র হিসেব ৬৫ লক্ষ। অর্থাৎ ফারাক ৩৮ লক্ষ। আবার ২০১৬-’১৭ সালে তফাত ২১ লক্ষ বেল। কয়েক বছর ধরেই দুই এজেন্সির দেওয়া তথ্যে ফারাক ধরা পড়ছে।
বিভ্রান্তি
অর্থবর্ষ ডিইএস* জেএবি*
• ২০১৩-’১৪ ১১৬ ৯০
• ২০১৪-’১৫ ১১৩ ৭২
• ২০১৫-’১৬ ১০৩ ৬৫
• ২০১৬-’১৭ ১০৬ ৮৫
* উৎপাদনের পূর্বাভাস: লক্ষ বেলে
তথ্যসূত্র: পাটশিল্প
সমস্যা
• বাড়তি উৎপাদনের ইঙ্গিতে দাম পড়ার সম্ভাবনা
• ভোগান্তি চাষিদের
• ফাটকা কারবার অসাধু ব্যবসায়ীদের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy