গুদাম এবং হিমঘর তৈরির জন্য এ বার থেকে বেসরকারি উদ্যোগপতিদেরও ঋণ দেবে নাবার্ড। এত দিন শুধুমাত্র রাজ্য সরকার এবং সমবায় সমিতিগুলিকেই ওই ঋণ দেওয়া হত।
এ দিকে, পণ্য মজুত করার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে-তহবিল তৈরি করেছে, তার থেকে একক রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের ভাগেই জুটেছে সব থেকে বেশি অর্থ। কেন্দ্র এ বারের বাজেটে দেশে পণ্য মজুত করার পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। তার থেকেই ৫২০ কোটি টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
নাবার্ডের চিফ জেনারেল ম্যানেজার টিএস রাজি গেইন বলেন, “রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় গুদামগুলিতে জায়গা অনেক কম। পুরো চাহিদা মেটাতে হলে অতিরিক্ত সাড়ে ১২ লক্ষ টন জায়গা তৈরি করা জরুরি। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে পাওয়া ওই টাকা বিশেষ সহায়ক হবে।” গুদাম বা হিমঘর ছাড়াও সাইলো ইত্যাদি তৈরি এবং পুরনো গুদাম উন্নয়নের জন্যও পাওয়া যাবে ঋণ।
রাজ্যের সমস্ত গুদামকে ওয়্যারহাউস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির কাছে নথিভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নাবার্ড। গেইন জানিয়েছেন, “এটা না-করা হলে পণ্য মজুতের খরচ বাবদ ঋণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন চাষিরা।” কেন্দ্রীয় সরকারের ওই তহবিল থেকে গুদাম বা হিমঘর তৈরির জন্য ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ওই নথিভুক্তি ব্যধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে গেইন জানান।
এ দিকে, চলতি আর্থিক বছরে (২০১৪-’১৫) রাজ্যে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১৬২০ কোটি টাকা ঋণ বণ্টনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে নাবার্ড। গত বছরে ওই অঙ্ক ছিল ১২০০ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy