Advertisement
E-Paper

শুল্ক বাড়ছে বলে সস্তা হচ্ছে না পেট্রোল-ডিজেল

বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমছে হু হু করে। কয়েক মাসের মধ্যে ব্যারেলে ১২০ ডলার থেকে তা নেমে এসেছে ৫৫ ডলারের আশেপাশে। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, তার প্রায় কোনও সুবিধাই পাচ্ছেন না দেশের সাধারণ মানুষ। কারণ, তেলের পড়তি দরের ‘সুবিধা নিয়ে’ তার উপর ক্রমাগত করের বোঝা বাড়িয়ে চলেছে মোদী-সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১৪

বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমছে হু হু করে। কয়েক মাসের মধ্যে ব্যারেলে ১২০ ডলার থেকে তা নেমে এসেছে ৫৫ ডলারের আশেপাশে। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, তার প্রায় কোনও সুবিধাই পাচ্ছেন না দেশের সাধারণ মানুষ। কারণ, তেলের পড়তি দরের ‘সুবিধা নিয়ে’ তার উপর ক্রমাগত করের বোঝা বাড়িয়ে চলেছে মোদী-সরকার।

আজ, বৃহস্পতিবারও প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলে ২ টাকা করে উৎপাদন শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। এতে পাম্পে পেট্রোল বা ডিজেল কিনতে হয়তো বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় যে সুবিধা মেলার কথা ছিল, হাতছাড়া হচ্ছে তা-ও। গত সাত সপ্তাহে এই নিয়ে তিন-তিনবার পেট্রোল-ডিজেলের উপর উৎপাদন শুল্ক বাড়াল মোদী সরকার।

পেট্রোল-ডিজেলে শুল্ক চাপালেও রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি অবশ্য জানিয়েছে, বিমান জ্বালানির দাম কমছে ১২.৫%। অগস্ট থেকে এই নিয়ে ছ’বার। ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা কমছে ভর্তুকিবিহীন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দরও।

কিন্তু দিনের শেষে এই সব কিছু ছাপিয়ে কথা হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের উপর ফের শুল্ক বসানো নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পরেও বিশ্ব বাজারের কম দরের সুযোগ কেন পাওয়া যাবে না? কেন বারবার কর চাপিয়ে তা আটকে দেবে কেন্দ্র? বিশ্ব বাজারে তেলের দর ফের বাড়লে, তখনও দেশে দাম কমাতে কর রেহাই দেওয়া হবে কি?

বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমছে হু হু করে। কয়েক মাসের মধ্যে ব্যারেলে ১২০ ডলার থেকে তা নেমে এসেছে ৫৫ ডলারের আশেপাশে। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, তার প্রায় কোনও সুবিধাই পাচ্ছেন না দেশের সাধারণ মানুষ। কারণ, তেলের পড়তি দরের ‘সুবিধা নিয়ে’ তার উপর ক্রমাগত করের বোঝা বাড়িয়ে চলেছে মোদী-সরকার।

আজ, বৃহস্পতিবারও প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলে ২ টাকা করে উৎপাদন শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। এতে পাম্পে পেট্রোল বা ডিজেল কিনতে হয়তো বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় যে সুবিধা মেলার কথা ছিল, হাতছাড়া হচ্ছে তা-ও। গত সাত সপ্তাহে এই নিয়ে তিন-তিনবার পেট্রোল-ডিজেলের উপর উৎপাদন শুল্ক বাড়াল মোদী সরকার।

পেট্রোল-ডিজেলে শুল্ক চাপালেও রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি অবশ্য জানিয়েছে, বিমান জ্বালানির দাম কমছে ১২.৫%। অগস্ট থেকে এই নিয়ে ছ’বার। ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা কমছে ভর্তুকিবিহীন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দরও।

কিন্তু দিনের শেষে এই সব কিছু ছাপিয়ে কথা হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের উপর ফের শুল্ক বসানো নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পরেও বিশ্ব বাজারের কম দরের সুযোগ কেন পাওয়া যাবে না? কেন বারবার কর চাপিয়ে তা আটকে দেবে কেন্দ্র? বিশ্ব বাজারে তেলের দর ফের বাড়লে, তখনও দেশে দাম কমাতে কর রেহাই দেওয়া হবে কি?

আজকের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আগাম আঁচ করে মোদী-সরকার অবশ্য আগেভাগেই যুক্তি দিয়েছে, পরিকাঠামো তৈরির জন্য অর্থ সংস্থান করতেই বসানো হল এই শুল্ক। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “চলতি ও আগামী অর্থবর্ষে পরিকাঠামো নির্মাণে বিপুল ব্যয় হবে। যার মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার কিলোমিটার সড়ক তৈরির কাজ। তার জন্য টাকা জোগাড়েই এই সিদ্ধান্ত। তবে খুচরো তেলের দাম বাড়ছে না।”

অর্থ মন্ত্রকেরও যুক্তি, পরিকাঠামোয় ওই লগ্নি হলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও। কিন্তু মন্ত্রক সূত্রে খবর, রাজকোষের অবস্থা বিশেষ সুবিধার নয়। রাজকোষ ঘাটতির যে লক্ষ্যমাত্রা বাঁধা হয়েছে, তার ৯৯% ছুঁয়ে গিয়েছে নভেম্বরেই। ফলে এই অবস্থায় শুল্ক না-বসিয়ে পরিকাঠামোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে গেলে ঘাটতি আরও বাড়ত। সেই ঝুঁকি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। এ দিনের শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্তের ফলে রাজকোষে আসবে বাড়তি ৬-৭ হাজার কোটি টাকা।

শুল্ক বসানোর দরুন জ্বালানির দাম না-কমায় সংসদে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল মোদী-সরকারকে। আনা হয়েছিল মুলতুবি প্রস্তাবও। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ প্রায় সব বিরোধী দল একজোট হয়ে এর সমালোচনা করেছিল। তাদের বক্তব্য, ইউপিএ জমানায় পেট্রোলের দাম সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়। আর মসনদে মোদী আসার পর ডিজেল। যার অর্থ, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়লে-কমলে দেশের বাজারেও জ্বালানির দর বাড়বে-কমবে। কিন্তু বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম সাড়ে পাঁচ বছরের সবচেয়ে নীচে নেমে যাওয়ার পরেও তার সুফল সে ভাবে পাননি এ দেশের মানুষ। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী-সরকার ক্রমাগত শুল্ক বাড়িয়ে চলার কারণেই সস্তা হচ্ছে না পেট্রোল-ডিজেল।

উল্লেখ্য, নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে দু’বার উৎপাদন শুল্ক বাড়ানো হয়। যার ফলে সব মিলিয়ে সরকারের সিন্দুকে ২৬-২৭ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আসবে বলে অনুমান। কিন্তু কেন্দ্রের এই নীতিকে জনবিরোধী তকমা দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে।

বিরোধীরা উৎপাদন শুল্ক নিয়ে সুর চড়ালেও জ্বালানির দাম কমায় খুশি বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি। কিছুদিন আগেই স্পাইসজেট-সহ বেশ কিছু বিমান পরিবহণ সংস্থার লোকসানের বহর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী অশোক গণপতি রাজু। বিমান জ্বালানির দর ১২.৫% কমা স্বস্তি দেবে তাঁকেও। ২০০২-এ ওই দাম বিনিয়ন্ত্রণের পরে আগে কখনও তা এতখানি কমেনি।

diesel petrol taxes increasing tax
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy