চোখ মোদীর অভিষেকেই। ছবি: পিটিআই
মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথের আগে এ দিন প্রত্যাশামতোই উত্তেজনার পারদ চড়ল বাজারে। যার জেরে এক সময় ফের ২৫ হাজারের মাইলফলক পেরলো সেনসেক্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে থিতু না হয়ে নেমে এল ২৪ হাজারের ঘরে। অবিকল গত ১৬ মে-র মতো। যে দিন প্রায় তিন দশক পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়ার জনাদেশ পেয়েছিল বিজেপি। ওই দিনও প্রায় দেড় হাজার পয়েন্ট উঠে সেনসেক্স পেরিয়েছিল ২৫ হাজার। তবে থিতু হয়নি সেখানে।
সোমবার দিনের একটা সময়ে ৪০০ পয়েন্টেরও বেশি উঠেছিল সূচক। কিন্তু পরে তা নেমে আসতে থাকে। এবং দৌড় শেষ করে আগের দিনের তুলনায় মাত্র ২৪ পয়েন্ট উঠে। ২৪৭১৬.৮৮ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দিন বাজারের এই আচরণের কারণ মূলত দু’টি। এক, ২৫ হাজার ছোঁয়া বাজারে মুনাফার টাকা তুলতে শেয়ার বিক্রি করেছেন বহু লগ্নিকারী। আর দুই, এ বার ধীরে ধীরে বাজারের বাস্তবের পথে পা বাড়ানো। দেখা গিয়েছে, এ দিন কারা কী মন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন বাজার উঠেছে রকেট গতিতে। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি যত স্পষ্ট হয়েছে, তত যেন সাবধানে পা ফেলতে শুরু করেছে বাজার। যেন মনে করেছে, শুধু প্রত্যাশার দিন শেষ। এ বার মোদী সরকারের করে দেখানোর পালা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের হাল এখন কিছু দিন এই রকমই চলবে। তবে তাঁরা নিশ্চিত যে, বাজার সংশোধনের জেরে মাঝেমধ্যে সূচকের সাময়িক পতন হলেও, সামগ্রিক ভাবে মুখ থাকবে উপরের দিকেই।
মাস দুয়েক ধরে বাজারের দৌড়ের পিছনে মূল ইন্ধন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিরই। তারা ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩৪,৫৮৬ কোটি টাকা ঢেলেছে। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, “এই সব সংস্থা আপাতত লগ্নি করবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন সমস্যা দেখা না-দিলে, সূচকের মুখ উপরের দিকেই থাকবে।” তাঁর মতে, “বি গ্রুপের শেয়ার সাধারণত খুচরো লগ্নিকারীদের টাকা ঢালার জায়গা। তাই তাদের দর বৃদ্ধি খুচরো লগ্নিকারীদের বাজারমুখো হওয়ার ইঙ্গিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy