পুলিশের জালে ‘চারমূর্তি’। —নিজস্ব চিত্র।
বাইরে কলসেন্টারের মোড়ক। তার আড়ালেই ফাঁদা হয়েছিল বড় মাপের প্রতারণা চক্র। কলকাতায় বসেই ফাঁদ পাতা হত বিদেশিদের জন্য। এবং নানা ভাবে ঠকিয়ে, ব্ল্যাকমেল করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্ও করে ফেলছিল এরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল চারজন।
এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে নিশ্চিত কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। দেশ জুড়েই এমন ভুয়ো কলসেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র সক্রিয় রয়েছে। এদের টার্গেট মূলত আমেরিকা এবং ইংল্যান্ড-সহ ইউরোপীয় দেশগুলির নাগরিকদের ঠকিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা।
কখনও বিভিন্ন সামগ্রী বেচার নামে, আবার কখনও পরিষেবা প্রদানের নাম করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হত। পরে তাঁদের বলা হত— আপনাদের মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপের তথ্য হ্যাক হয়ে গিয়েছে। দাবি মতো টাকা না দিলে, সব মুছে দেওয়া হবে। ফলে অনেকেই ভয় পেয়ে টাকা দিয়ে দিতেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন নামী কোম্পানির নামে পরিষেবা দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাকা আত্মসাৎ করা হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আর কী কী ভাবে তারা টাকা হাতাত, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
গ্রেফতারির সময় বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
সাধারণত, এই ধরনের ভুয়ো কলসেন্টারগুলিতে কোনও বাড়ি ভাড়া বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে চালানো হয়। ভাল ইংরাজি বলতে পারে যুবক-যুবতীদের কাজে নেওয়া হয়। বছর খানেক আগে বিধাননগরে এই ধরনের প্রতারণা চক্রের বিষয়টি সামনে এসেছিল। এ বার কলকাতায়।
আরও পড়ুন: রজত মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়, খুনের মামলা দায়ের, সন্দেহের তালিকায় স্ত্রীও
আরও পড়ুন: সেক্স সাইটে ফেক প্রোফাইল, যাদবপুরে দুই মহিলার দরজায় হাজির ‘কাস্টমার’!
শুক্রবার রাতে ইএম বাইপাস লাগোয়া ক্যানাল সাউথ রোডের একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে আনওয়ারুল হক (৩০), মহম্মদ সাহিল কুরেশি (২৬), মহম্মদ আমিরুল হক (২৭) এবং জানেসার আখতার আলাম (২৬)-কে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি বিলাসবহুল মার্সেডি়জ বেঞ্চ গাড়ি, কম্পিউটার-সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy