Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Lalbazar

পাইকারি ওষুধের বাজারে ভিড় কমাতে কড়াকড়ি

গত সোমবার পঞ্চম দফা লকডাউনে বেশ কিছু বিধি শিথিল হওয়ায় প্রায় সব বাজার-দোকানই খুলে যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৬:৩৫
Share: Save:

শহরের একমাত্র পাইকারি ওষুধের বাজার মেহতা বিল্ডিংয়ে ভিড় ঠেকাতে এ বার কড়া হল লালবাজার। ক্যানিং স্ট্রিটের ওই পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার থেকে ওষুধের গাড়ি ছাড়া আর কোনও গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। শুধু ওষুধ কিনতে আসা ব্যক্তিদের গাড়ি বা বাইকই ক্যানিং স্ট্রিটে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রেও ওষুধ ব্যবসার বৈধ নথি সঙ্গে রাখতে হবে তাঁদের। সেই নথি দেখিয়ে পুলিশের অনুমোদন পেলে তবেই মেহতা বিল্ডিংয়ে ঢোকার ছাড়পত্র মিলবে বলে জানা গিয়েছে। তবে মাস্ক ও গ্লাভস ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, ক্যানিং স্ট্রিটের সঙ্গে যুক্ত ব্রেবোর্ন রোড, রবীন্দ্র সরণি, এজরা স্ট্রিট, পোলক স্ট্রিটের মতো পাঁচটি রাস্তার সংযোগস্থলে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের পাঁচটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এক জন আধিকারিকের নেতৃত্বে চার জন পুলিশকর্মীর এক-একটি দল ওই গাড়ি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। এর পাশাপাশি, ওই এলাকায় অবৈধ পার্কিং ঠেকাতে মঙ্গলবার থেকে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশের আরও দু’টি দল।

লালবাজার জানিয়েছে, ক্যানিং স্ট্রিটের মেহতা বিল্ডিং রাজ্যের ওষুধ বাজার হিসেবে পরিচিত। লকডাউনে ওই বাজারের ভিড় এড়াতে সেখানে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে আশপাশের বাজারগুলি বন্ধ থাকায় ক্যানিং স্ট্রিটেই গাড়ি রাখতে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু গত সোমবার পঞ্চম দফা লকডাউনে বেশ কিছু বিধি শিথিল হওয়ায় প্রায় সব বাজার-দোকানই খুলে যায়। ফলে গাড়ির চাপ এবং ভিড়ে এক সময়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ক্যানিং স্ট্রিট এবং মেহতা বিল্ডিং। পুলিশের একাংশের দাবি, ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না সেখানে। এর পরেই মঙ্গলবার থেকে নতুন নিয়ম চালু করে লালবাজার।

আরও পড়ুন: দুই যাত্রী নিয়েই অটো চালাতে চান চালকেরা

সূত্রের খবর, মেহতা বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। এ ছাড়া বিল্ডিংয়ের দোকানগুলির সামনে ডালা রাখা নিয়েও বুধবার থেকে কড়াকড়ি করছে পুলিশ। ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সেখানে দোকানের বাইরের অংশে জিনিস ডাঁই করে রাখতেন দোকানদারেরা। করিডরে ডালায় জিনিস নিয়েও বসতেন অনেকে। কিন্তু এর জন্য ভিতরে চলাচলের রাস্তা আটকে গিয়ে সমস্যা হত, ভিড়ও বাড়ত। তাই দোকানের সামনে ওই ভাবে জিনিস এবং ডালা নিয়ে বসা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি বুঝে আগামী দিনে এক দিন অন্তর এক-এক জন করে বিক্রেতা পালা করে ডালা নিয়ে বসতে পারবেন বলে স্থির হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lalbazar Bagree Market Coronavirus in Kolkata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE