এতদিন প্রীতমের এই ছবি আঁকড়েই বেঁচে ছিল প্রীতমের পরিবার। —ফাইল চিত্র।
উত্তরাখণ্ডের কেদার-বদ্রী চষে শেষ পর্যন্ত অমৃতসরে খোঁজ মিলল নিখোঁজ প্রীতম বেরার। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পাওয়া এবং আইআইটি প্রবেশিকাতে ভাল ফল করা মেধাবী এই ছাত্রের হদিস মিলল টানা ৫ মাস তল্লাশির পর।
গত ২৩ মে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার বাসিন্দা প্রীতম বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় আশেপাশের আত্মীয়স্বজনের কাছে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার বাবা প্রদীপ বেরা। কোথাও খোঁজ না পেয়ে ২৪ তারিখে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ১ জুন পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু পুলিশও তদন্ত করে প্রীতমের নিখোঁজের কোনও সূত্র পাচ্ছিল না। হঠাৎই আশার আলো দেখা যায় ৪ অগস্ট। ওই দিন সকালে প্রীতমের সঙ্গে যে মোবাইল ছিল তাতে ফোন করেন তাঁর বাবা। ফোন রিং হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ফোনটি যিনি ধরেছিলেন তিনি জানান, কেদারনাথের রাস্তায় সেই ফোন তিনি কুড়িয়ে পেয়েছেন। প্রীতমে বাবা সঙ্গে সঙ্গেই বাঁশদ্রোণী থানার ওসি অমিতশঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। পরদিন ওই থানার অতিরিক্ত ওসিকে সঙ্গে নিয়ে প্রদীপবাবু পৌঁছন বদ্রীনাথে। সেখানে শীতল দাস এবং রবি দাস নামে একটি সাধুর ডেরা থেকে উদ্ধার হয় প্রীতমের সিম কার্ড, ব্যাগ, জামাকাপড় এবং আইআইটি প্রবেশিকার অ্যাডমিট কার্ড।
আরও পড়ুন: দেড় মাসের নাতনিকে পা দিয়ে পিষে ‘খুন’ করল ঠাকুরদা!
ওই দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তাদের জেরা করেও বিশেষ কোনও সূত্র মেলেনি প্রথমে। পরে প্রীতমের হাতে লেখা এক ডায়েরির সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে তদন্তকারী অফিসারেরা। সেই ডায়েরিতে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন ট্রেক রুট এবং দুর্গম পাহাড়ি রাস্তার ম্যাপ খুঁজে পায় পুলিশ। ম্যাপগুলো প্রতিটাই হাতে আঁকা। এরপর ওই ম্যাপের সূত্র ধরেই তল্লাশি চলে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে অমৃতসর থেকে ওই পড়ুয়ার হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
তবে কী ভাবে প্রীতম অমৃতসরে গিয়ে পৌঁছল তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। কলকাতায় ফিরে তাকে জেরা করলেই ঘটনাটা জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy