পার্ক সার্কাস স্টেশন।—ফাইল চিত্র।
সামনে অটো দাঁড় করিয়ে সেতুর রেলিংয়ে বসে গল্প করছিলেন দুই অটোচালক। আচমকা রেলিং থেকে তাঁরা পড়ে গেলেন নীচের রেললাইনে! প্রাণে বেঁচে গেলেও জখম হয়েছেন দু’জনই। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাস এলাকার চার নম্বর সেতুতে। ওই সেতুর নীচেই পার্ক সার্কাস স্টেশন। পুলিশ জানায়, স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের উপরেই পড়ে যান ৩২ বছরের শেখ শাহাজাদা এবং ২৭ বছরের শেখ শাহিদ।
পুলিশ সূত্রের খবর, জখম দুই যুবকই স্থানীয় তিলজলা রোডের বাসিন্দা। দু’জনেই ধর্মতলা-পার্ক সার্কাস রুটের অটোচালক। এ দিন বিকেলে তাঁরা সেতুর উপরে অটো দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এক সময়ে অটো ছেড়ে দু’জনেই সেতুর রেলিংয়ে উঠে বসেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেললাইনের ধারে বসে থাকা স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, লাইনের তারের উপর দিয়ে একটি কাক অনেক ক্ষণ ধরে মুখে তার নিয়ে উড়ছিল। কখনও সেতুর পাঁচিলে বসছিল, কখনও তারের উপরে। কাকটি তারের উপরে বসতেই আচমকা বিকট একটা শব্দ শোনেন তাঁরা। মুখ তুলতেই উপরে আলোর ঝলকানি দেখেন। সেই সময়ে ওই দুই যুবক আওয়াজ শুনে পিছন ঘুরে তাকাতে গিয়েই নীচে পড়ে যান বলে তাঁদের দাবি।
ওই বাসিন্দারা জানান, লাইনের ধারে পাথরের চাঙড় পড়ে ছিল। দুই অটোচালক সেই চাঙড়ের উপরেই পড়েন। আরও জানা গিয়েছে, এক মহিলা রেললাইনের ধার দিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে হাঁটছিলেন। ওই দু’জনের পতনের অভিঘাতে তিনিও পড়ে যান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এলাকার লোকজন ওই দু’জনকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত দুই যুবকের মধ্যে শেখ শাহাজাদার পা ভেঙেছে। তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন। শাহিদকে তাঁর পরিবারের লোকজন অন্যত্র নিয়ে গিয়েছেন। হাসপাতাল জানিয়েছে, শাহিদের মাথায় ও মেরুদণ্ডে চোট লেগেছে।
ধর্মতলা-পার্ক সার্কাস রুটের অটোচালকেরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে এঁদেরই এক জন অটো নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। কিন্তু এ দিনের দুর্ঘটনার পিছনে আদৌ কোনও কাকের গল্প রয়েছে কি না, পুলিশ নিশ্চিত নয়। পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দু’জনই রেলিংয়ে বসে গল্প করছিলেন। কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে একসঙ্গে পড়ে যান তাঁরা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy