আমার আর দ্বৈপায়নের পয়লা বৈশাখ শুধু খাওয়া-দাওয়ার ওপর দিয়েই যায়। এত দিন যেটা হত মাসের দ্বিতীয় রবিবার, পয়লা বৈশাখ মিলিয়ে আমরা দু’দিনের ছুটি নিয়ে বেড়াতে চলে যেতাম। এ বছর সেটা হচ্ছে না। আমার শিডিউলের জন্য। তাই ঠিক করেছি বাড়িতে সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করে, আড্ডা দিয়ে চুটিয়ে মজা করব। আমার শ্বশুর, শাশুড়ি কানপুরে থাকেন। এখানে যাঁরা আছেন, মানে মাসি, মেসো, মামাশ্বশুর, মামিশাশুড়ি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাটবে দিনটা।
যদিও পয়লা বৈশাখে শাড়ি পরলেই সবচেয়ে ভাল লাগবে। কিন্তু শুটিংয়ে শাড়ি পরে পরে আমি ক্লান্ত। তবুও চেষ্টা করব যাতে নতুন শাড়িটা ভেঙে পরা যায়। অফহোয়াইট আর লালের কম্বিনেশনের ঢাকাই। সারা বছর ধরেই তো জামাকাপড় কিনি। জানি না, হয়তো হয়ে উঠবে না। কারণ প্যাকআপের পর ফিরব হয়তো ভোরবেলায়। তাই ক্যাজুয়ালেই ভরসা। হাফপ্যান্ট আর টি-শার্ট।
বছরের প্রথম দিনটা বাড়িতেই রান্না হবে। আমার বর কিন্তু আমার থেকে বেশি ভাল রান্না করে। আমি টুকটাক রান্না পারি। যেমন নতুন কেক তৈরি করতে শিখেছি এখন। তবে পয়লা বৈশাখে মটন রান্না করার ইচ্ছে আছে। কষা মাংস, ভাত— আর কী চাই!
পায়েল ও দ্বৈপায়ন।
ছোটবেলার একটা জিনিস এখন খুব মিস করি। ‘স্ট্রবেরি’ বা ‘লিটিল শপ’-এ নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবার কাছে কান্নাকাটি করতাম। সে তুমুল বায়না। নিয়ে যেতেই হবে। এই দুটো দোকানের কোনও একটা ড্রেস কিনে দিতে হবে। অন্য কোথাও থেকে কিনে দিলে, জাস্ট পরব না। দুটো ড্রেস কিনতেই হবে পয়লা বৈশাখে। আমার মিশনারি স্কুল ছিল, ফলে পয়লা বৈশাখে ছুটি দিত না। ওয়েট করতাম। বাড়ি ফিরব, ফ্রেশ হয়ে কখন বিকেলে ওই জামাটা পরে বেরোব। পুজোর মতোই ব্যাপারটা ছিল। নতুন জামা পরে শো অফ।
ছবি: অনির্বাণ সাহা ও ফেসবুকের সৌজন্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy