প্রতীকী ছবি
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন তিনি। তারপরেও বনগাঁর বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষিকা তরুণী ও তাঁর পরিবারকে কার্যত একঘরে করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
তরুণী গোবরডাঙার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাপের বাড়ি বনগাঁয়। বৃদ্ধ বাবা-মা, মেয়েকে নিয়ে কয়েক দিন ধরে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। পরিবার ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক’দিন আগে জ্বর হয় তরুণীর। ২৩ মার্চ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখান। সংক্রামক রোগ সন্দেহে তাঁকে চিকিৎসকেরা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
ওই রাতে তাঁকে সেখানে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার পরে ২৫ মার্চ তিনি বাপের বাড়িতেই ফিরে আসেন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই এলাকার কেউ কেউ রটিয়ে দেয়, তরুণী করোনা- আক্রান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা লেখা হয়।
তরুণী বাড়ি ফেরার পর থেকে পরিবারের লোকজনকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন পাড়ার অনেকে। ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘‘মুদির দোকান থেকে আমাদের মালপত্র দেওয়া হচ্ছে না। এক মহিলা মেয়ের দুধ ও খাবার এনে দিতেন। তাঁকেও লোকজন নিষেধ করেছেন, আমাদের বাড়ি না আসতে।’’ শিক্ষিকার কথায়, ‘‘চিকিৎসকেরা যেখানে বলে দিলেন, আমার এমন কোনও রোগ হয়নি, সেখানে কিছু লোক এমন কথা কেন রটাবে!’’ সোমবার তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায়কে। মহকুমা শাসক বলেন, ‘‘সমস্য মেটাত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেও লোকজন কারও বিরুদ্ধে মিথ্যে গুজব রটিয়ে দিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy