আজ, দুর্গাপুরে সভা করতে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এই নিয়ে গত পাঁচ বছরে চার বার আসানসোল-দুর্গাপুর আসছেন প্রধানমন্ত্রী। কখনও ভোটের প্রচারে, কখনও বা কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ফের দুয়ারে ভোট। ২০১৭ ও ২০১৮-য় বন্ধ হয়েছে আসানসোলের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা। এই পরিস্থিতিতে শিল্প-ক্ষেত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদৌ কিছু বলেন কি না, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে।
২০১৭-য় বন্ধ হয়েছে হিন্দুস্তান কেব্লস। ২০১৮-য় বার্ন স্ট্যান্ডার্ড। এ ছাড়া ১৬টি কয়লাখনি বন্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। বহু বছর ধরে চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানা, বার্নপুর ইস্কো-সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ।
এই বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘ঠিকাপ্রথায় উৎপাদন চালু রেখে সংস্থাগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।’’ শুধু তাই নয়, এই সময়পর্বে সে ভাবে কোনও ভারী শিল্পও আসেনি জেলায়। ফলে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারালেও নতুন কর্মসংস্থান সে ভাবে হয়নি।
বংশগোপালবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমরা এই সরকারের থেকে ভাল কিছু আশা করি না। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী শিল্পোন্নয়নের বিষয়ে কিছু বললে স্বাগত জানাব।’’ আইএনটিইউসি-র কেন্দ্রীয় নেতা চণ্ডী বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, জেলার প্রধান শিল্প, কয়লা-শিল্পে কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন বহু শ্রমিক। তাঁর কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে শিল্প-ক্ষেত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু না বললে শ্রমিক-কর্মীদের হতাশা বাড়বে।’’ আইএনটিটিইউসি-র জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী আশার কথা শোনালেও তা কতটা কার্যকর হবে তা ভেবে দেখার বিষয়।’’
তবে প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় মজদুর সভা (বিএমএস)। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘শিল্পাঞ্চলে এসে প্রধানমন্ত্রী সব সময়ে শিল্পোন্নয়ন নিয়েই কথা বলেছেন। বার্নপুর ইস্কোর আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এসে প্রধামন্ত্রী ইস্কো ও দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের জন্য আর্থিক অনুদানও ঘোষণা করেছিলেন।’’ উজ্জ্বলবাবুদের আশা, আজ, শনিবারও শহরে এসে প্রধানমন্ত্রী ফের শিল্পোন্নয়ন নিয়ে অবশ্যই আশার কথা শোনাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy