ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে বসবাস করার অভিযোগ উঠল হাট কালনা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে ভারতের শংসাপত্র তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে কালনার এই গ্রামের এক দম্পতিকে মা-বাবা হিসাবে দেখিয়ে এখানকার পরিচয়পত্র তৈরি করেন অভিযুক্ত প্রধান। এ ছাড়াও অভিযোগ, তার স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বনমালী মণ্ডল চারজন বাংলাদেশি নাগরিকের নামে এনামুরেশন ফর্ম নিয়েছেন। অথচ সেই দম্পতি শচীন ব্যাপারী এবং বিষ্ণুপ্রিয়া ব্যাপারীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করা হলে মুক্তারপুরের সেই বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, আত্মীয়ের অসুস্থতার কারণে তাঁরা বাইরে আছেন। এর পরেই সরব হন সেই গ্রামের বিজেপি নেতৃত্ব।
কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভানেত্রী স্মৃতিকণা বসুর অভিযোগ, উনি ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে, ভুয়ো নথি দিয়ে জাতিগত শংসাপত্র ও ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন। তাঁরা সত্যের সন্ধানে এসডিওর কাছে এসেছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শ্রাবন্তী এবং তার স্বামী বনমালী তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যাঁরা তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা প্রমাণ করে দেখান যে তাঁদের শংসাপত্র ভুয়ো। তারপর তাঁরা তাঁদের প্রমাণ দেখাবেন যে তাঁরা বাংলাদেশি নন।