নদীগর্ভে যন্ত্র বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালি তোলা হচ্ছিল। পাশে সবুজ রঙের নৌকায় আরও একটি যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলা চলছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই ছবি দেখা গিয়েছে মঙ্গলকোটে অজয়ের উপরে মাঝখাড়া বালিঘাটে। সূত্রের খবর, আউশগ্রামের মালেচা মৌজার মানাতেও বেআইনি ভাবে অজয় থেকে বালি তোলার প্রমাণ পেয়েছে প্রশাসন। সেখানে নদীর চরে ট্রাক যাওয়ার স্পষ্ট দাগ দেখা গিয়েছে। তবে দেখা যায়নি কোনও ট্রাক। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং পুলিশ অভিযান চালায়। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মঙ্গলকোটের বিএলএলআরও পুলিশকে চিঠি দিয়ে বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করার পাশাপাশি, নদীগর্ভে থাকা নৌকা, বালি তোলার বেআইনি যন্ত্র, পাইপ, মাটি কাটার যন্ত্র ও বড় ট্রাক বাজেয়াপ্ত করার কথা বলেছেন। যদিও মঙ্গলকোট থানা রবিবার এফআইআর দায়ের করেনি। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-মেলে নয়, সরাসরি থানায় এসে এফআইআর করতে বলা হয়েছে বিএলএলআরও-কে।
শনিবার পুলিশকে লেখা ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, কলকাতার একটি সংস্থার নামে বালি ঘাটের চালান ব্যবহার করে বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছিল মঙ্গলকোটে। নদীর গর্ভ থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে বালি তুলে পাইপ দিয়ে পাড়ে আনা হচ্ছিল। সেখান থেকে বালি ১২ চাকার ট্রাকে তোলা হচ্ছিল। তাঁরা এ সম্পর্কে বৈধ বালিঘাটের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। জেলাশাসক আয়েষা রানি এ-র নির্দেশে ওই ঘাটের সমস্ত চালান বন্ধ করে দিয়েছে ভূমি দফতর। অন্য দিকে, আউশগ্রামের মালেচা মৌজাতেও বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে জানিয়ে এফআইআর করেছেন বিএলএলআরও। সূত্রের খবর, নভেম্বরের প্রথম দিকে এলাকাবাসী চিঠি পাঠিয়ে বালি চুরির কথা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘প্রভাবশালীদের’ মদতেই রাতের অন্ধকারে বালি লুট হচ্ছে।
জেলাশাসকের নির্দেশে শনিবার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ও পুলিশ অভিযান চালায়। তাঁরা সেখানে গিয়ে ট্রাক, বালি বা মাটি কাটার যন্ত্র দেখতে পাননি। তবে, বালি তোলার চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। আউশগ্রাম থানা এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)