Advertisement
E-Paper

সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল শিশুর দেহ

ট্যাঙ্কের মুখ খোলা ছিল। ওই শিশু তা উঁকি মেরে দেখতে গিয়েই ট্যাঙ্কের জলের মধ্যে পড়ে যায় সবার অলক্ষ্যে। তাতেই জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:১১
সেপটিক ট্যাঙ্ক। (ইনসেটে) মেহনাজ

সেপটিক ট্যাঙ্ক। (ইনসেটে) মেহনাজ

এক নিখোঁজ শিশুর দেহ মিলল এক প্রতিবেশীর নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। শিশুর নাম মেহনাজ খাতুন (৫)। বাড়ি জঙ্গিপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রহমানপুর পল্লিতে। এটি খুন নাকি প্রতিবেশীর গাফিলতি তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

মৃত শিশুর মা গোরি বিবি জানান, সোমবার বেলা ৩ টে নাগাদ হঠাৎই নজরে পড়ে মেয়ে নেই। তারপরই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু কোথাও মেলেনি খোঁজ। মঙ্গলবার সকাল হতেই পাড়ার লোকজনের মুখে মা শুনতে পান প্রতিবেশী টিঙ্কু শেখের নির্মীয়মান পাকা বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে মেয়ের মৃতদেহ জলে ভেসে রয়েছে। এরপরই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়।

শিশুটির মা অবশ্য বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই পাড়ায়। তবু খুনের ঘটনা একেবারে উড়িয়ে দিই কী করে? তা ছাড়া সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা কেন বন্ধ রাখা হয়নি? যদি তারা সতর্ক থাকত তাহলে এধরণের ঘটনা ঘটত না।’’

এলাকার মানুষও নির্মীয়মাণ বাড়িটির মালিক প্রতিবেশী টিঙ্কু শেখের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন। টিঙ্কু শেখের স্ত্রী নাজেফা বিবি অবশ্য বলছেন, ‘‘সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখে টিন চাপানো ছিল। আশপাশের বাড়ির লোকজনকেও একটু সাবধানে থাকতে বলেছিলাম। সোমবার বিকেলে ট্যাঙ্কের মুখে ঢাকা দেওয়া টিন কেউ সরিয়ে দেয়।’’ পুলিশ অবশ্য খুনের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মতে, ট্যাঙ্কের মুখ খোলা ছিল। ওই শিশু তা উঁকি মেরে দেখতে গিয়েই ট্যাঙ্কের জলের মধ্যে পড়ে যায় সবার অলক্ষ্যে। তাতেই জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।

Jangipur Corpse Child
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy