অমরনাথে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে কাশ্মীরের মানুষ। ছবি: পিটিআই।
অমরনাথ ফেরত পুণ্যার্থীদের উপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। এই জঘন্য কাজ যে কাপুরুষোচিত, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। যে কোনও জঙ্গি হানার মতো এই জঙ্গি হানাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দার্হ। কিন্তু হামলা যে হেতু তীর্থ যাত্রীদের উপর, সে হেতু এই হামলার এক অন্যতর তাত্পর্য খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট ধর্মের উপর আঘাত হানা হয়েছে— বিষয়টিকে এ ভাবেই তুলে ধরার এক অপপ্রয়াস চোখে পড়ছে। সঙ্কটকালে কিন্তু বুদ্ধিভ্রষ্ট হলে চলবে না। কোনও অপচেষ্টার শরিক হলে চলবে না। অমরনাথ যাত্রীদের উপর আঘাত আমাদের দেশের উপরেই আরও এক আঘাত। দেশের উপর আসা অন্য যে কোনও আঘাতের জবাব যে ভাবে দিই আমরা, এর জবাবও সে ভাবেই দেব নিশ্চয়ই। কিন্তু দেশ আর ধর্মকে গুলিয়ে ফেলব না কিছুতেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই এক বিপজ্জনক আলাপচারিতা শুরু হয়েছে। হামলা শুধু অমরনাথ যাত্রীদের উপরেই হয়, হজ যাত্রীদের উপর হয় না— এই রকম নানা কথা ভেসে বেড়াচ্ছে। এর পরেও বলবেন, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না? এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। হ্যাঁ, এর পরেও বলব, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। কারণ, ধর্ম যদি কারও সত্যিই থাকে, তা হলে সে এমন জঘন্য এবং বর্বর কাজ করতেই পারে না।
এ দেশ আমাদের, এ দেশের প্রত্যেক নাগরিক পরস্পরের আপন। কোনও অপশক্তি সেই জন্মগত সম্পর্কে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করতেই পারে। কিন্তু আমরা সে ফাঁদে পা দেব না। আমরা ঐক্যবদ্ধই থাকব। সন্ত্রাস এখন গোটা বিশ্বের সঙ্কট, গোটা সভ্যতার সঙ্কট। এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই। সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের মধ্যে বিভাজনই চায়। তারা আমাদের দুর্বল করতে চায়। তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ সুস্থিতি নষ্ট করতে চায়। সে চাহিদা আমরা পূরণ হতে দেব না। সমগ্র ভারত এক হয়ে লড়বে, দুর্ভেদ্য হয়ে লড়বে। শপথ নিতে হবে আজ এই মর্মেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy