অরুণ জেটলির বাজেটে কী থাকবে রাজনৈতিক ছোঁয়া?
বাধা আর নেই, কেটে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখনও আপত্তি জানায়নি। আর সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি পত্রপাঠ খারিজই করে দিয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় বাজেটের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ায় সায় নেই, বিচারবিভাগ বুঝিয়ে দিয়েছে। অতএব, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশে আর কোনও সমস্যা নেই। প্রশ্ন কিন্তু অনেকগুলো রয়েছে।
এ বারের বাজেট কি আদৌ কোনও অর্থনৈতিক বাজেট? নাকি একটি রাজনৈতিক বাজেট পেশ হতে চলেছে ১ ফেব্রুয়ারি?
বিরোধীদের আশঙ্কা, এই বাজেটকেই সবচেয়ে বড় নির্বাচনী হাতিয়ার করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। বিস্ময়কর, বেনজির এবং অবিশ্বাস্য প্রতিশ্রুতির বান ডাকবে এ বারের বাজেটে, মনে করছে প্রায় সবক’টি বিরোধী দল। সত্যিই কি তেমন কিছুর সাক্ষী হবে ১ ফেব্রুয়ারির সংসদ ভবন? নাকি নৈতিকতা, সৌজন্য এবং রাজধর্মের নজির গড়ে নির্বাচনী তাড়নার বিন্দুমাত্র ছাপ বাজেটে পড়তে দেবেন না প্রধানমন্ত্রী?
এই প্রথম সাধারণ বাজেটে মিশে গিয়ে পেশ হতে চলেছে রেল বাজেট। দেশের সুবিশাল রেল সাম্রাজ্যে কার ভাগ্যে কী জুটল, কোন খাতে কত বরাদ্দ হল, দীর্ঘ দিনের কোন দাবি পূরণ হল, কী অপূর্ণ রয়ে গেল, সে সব কি এ বারের বাজেটে আগের মতো স্পষ্ট করে বোঝা যাবে? সাধারণ বাজেটের চেহারাটা কি অরিবর্তিত থাকবে? নাকি সাধারণ্যে অনেকখানি ধোঁয়াশা রেখেই অরুণ জেটলি তাঁর বাজেট ভাষণ শেষ করবেন?
এ বারের বাজেটের চরিত্র, আকার, বিন্যাস, প্রকৃতি ইত্যাদি নিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন জাগছে জানমানসে। আমরা কিন্তু সবক’টা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে দিয়েছি। প্রত্যাশা, বাস্তবতা, আশা-নিরাশা, বিশেষজ্ঞের মতামত এবং নিখুঁত বিশ্লেষণ নিয়ে প্রস্তুত আমাদের বিশেষ বিভাগ ‘বাজেট ২০১৭’। ক্লিক করুন www.anandabazar.com/budget/2017 লিঙ্কে। নিরসন ঘটান বাজেট সংক্রান্ত যে কোনও জিজ্ঞাসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy