মাঠের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কথার খেলা তবু ফুরোচ্ছিল না। বিরাট কোহালি ব্রিটিশ খেলোয়াড়কে তাই পরামর্শ দিলেন, মাঠের বিষয় মাঠেই ছেড়ে আসা ভাল।
এ পরামর্শের তাৎপর্য কিন্তু শুধু ক্রিকেটের মাঠে সীমাবদ্ধ নয়। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এই বিরাট সারসত্য— মাঠের বিষয় মাঠেই ছেড়ে আসা ভাল।
অনেকেই আমরা মনে রাখতে পারি না সারকথাটা। পারতাম যদি, নির্বাচন মিটতেই রাজনীতির ধুন্ধুমার থেমে যেত তা হলে। পারতাম যদি, সংসদের ভিতরের লড়াই ভিতরেই আবদ্ধ থাকত, সংসদ চত্বর পেরিয়ে এসে সে লড়াই পরস্পরের ব্যক্তিগত জীবনের গণ্ডিগুলোকে বার বার ডিঙিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত না। পারতাম যদি, জীবিকার সঙ্গে বৃহত্তর জীবনের ফারাকটা গুলিয়ে যেত না কিছুতেই।
জীবনের এই বুনিয়াদি দর্শনের উদ্ভাস হয়তো ঘটল নেহাৎই অকিঞ্চিৎকর এক বিবাদকে ঘিরে। কিন্তু উদ্ভাসটা অকিঞ্চিৎকর নয় মোটেই। কথাগুলো আসলে চির উদ্ভাসিত, চিরন্তন। ভেসেই যখন উঠল আবার চোখের উপর সত্যটা, অনুশীলনের চেষ্টাই বা হবে না কেন? যদি অনুশীলন সম্ভব হয়, যদি আত্মস্থ করা যায় এ সারকথা, জীবনের অনেক কূটগ্রন্থিকেই কিন্তু উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়।
মাঠের বিষয় মাঠেই ছেড়ে আসা ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy