‘ছোটি বহু’র সামনে মন্ত্রিত্বের হাতছানি
মুলায়ম সিংহ যাদবের ‘ছোটি বহু’ অপর্ণা নাকি যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হবেন। মুলায়মের প্রয়াত প্রথম পক্ষের স্ত্রী-র সন্তান অখিলেশ যাদবকে তেমন ভাল চোখে দেখেন না তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, পুত্র বা পুত্রবধূরা। আর যাদব-পরিবারের ভেতরকার কলহের সেটাই নাকি মূল কারণ। এত সব কিছু সত্ত্বেও সৎ ভাই প্রতীকের স্ত্রী অপর্ণাকে লখনউ ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রার্থী করেছিলেন অখিলেশ। তাঁর স্ত্রী ডিম্পল অপর্ণার হয়ে প্রচারও করেছিলেন ভোটের আগে। কিন্তু বিজেপিরই রীতা বহুগুণা জোশীর কাছে হেরে যান অপর্ণা। এ দিকে ভোটে বিজেপি জিতে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান প্রতীক-অপর্ণা। তার পর অপর্ণার গোশালা দেখতে যান যোগী। এই ঘটনার পর এখন লখনউয়ে গুঞ্জন, অখিলেশ-ডিম্পলকে শায়েস্তা করতে মুলায়মের সঙ্গে আলোচনা করেই বিজেপি এখন অপর্ণাকে বিধান পরিষদে নিয়ে এসে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী করতে চাইছে।
রেলের গল্প
তাঁর সুপারিশেই রেল বাজেট এখন ইতিহাস। সেই বিবেক দেবরায় এ বার রেলের ইতিহাস নিয়ে একটি বই লিখলেন। বইয়ের নাম: ইন্ডিয়ান রেলওয়ে— দ্য উইভিং অব ন্যাশনাল ট্যাপিস্ট্রি। না, ঠিক পণ্ডিতি গুরুভার বই নয়, আবার কফি-টেবিল বইও নয়। টুকরো টুকরো গল্পে বইয়ের শুরু ১৮৩০-এ, যখন এ দেশে রেললাইন পাতার পরিকল্পনা শুরু হল। শেষ বিংশ শতাব্দীর রেলের গল্পে। গল্পের ছলেই রেলের সম্পর্কে যত বেশি সম্ভব তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য বিবেকবাবু। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর হাতে রেলের ইতিহাসের প্রকাশ কোথায় হল, আন্দাজ করার জন্য কোনও পুরস্কার নেই— দিল্লিতে রেল জাদুঘরে।
মৌনী বিজয়
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপির সাংসদদের সমন্বয়ের দায়িত্বে। সংসদে বিজেপি অফিসে বসেন, ফোন করেন সবাইকে। কিন্তু ক’দিন কেউ তাঁর ফোন পাননি। কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না। কী ব্যাপার? কৈলাস নবরাত্রিতে মৌনব্রত রেখেছেন। কেউ কাজে গেলে কাগজে লিখে প্রশ্ন করছেন, জবাবও লিখেই।
নীতীশ সরণ
রাজীব গাঁধী জমানায় রাজস্ব সচিব ছিলেন নীতীশ সেনগুপ্ত। অবসরের পর কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পুনর্গঠন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন দীর্ঘ দিন। বাংলাভাষীদের ইতিহাস থেকে শুরু করে এক ডজন বইও লিখেছেন। চিত্তরঞ্জন পার্কেই থাকতেন বরাবর। প্রয়াত নীতীশবাবুর নামে সেখানকার একটি রাস্তার নামকরণ হল নীতীশ সেনগুপ্ত সরণি। দিল্লিতে কেজরীবাল সরকার, দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা বিজেপির, তবে রাস্তার উদ্বোধন হল কংগ্রেস বিধায়ক বীরেন্দ্র কাসানার হাতে।
নবীন রটনা
প্রথম গুজব, চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দিন বিদেশে থাকবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাই তাঁর বোন গীতা মেহতা মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসবেন। সেই গুজব না মিয়োতেই, দলের কিছু নেতার মদতে বিজেপি ভাঙন ধরাতে চাইছে বলে টুইটারে অভিযোগ সাংসদ তথাগত শতপথীর। আর এক সাংসদ জয় পন্ডা তার প্রতিবাদ করায় তথাগতর প্রশ্ন, এ তো দেখছি ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি! নতুন রটনা, দলের সাংসদদের নজরে রাখতে বোনকে রাজ্যসভায় পাঠাবেন নবীন। সেই গুজবেও জল ঢেলে নবীনের দাবি, গীতা রাজনীতিতে আসবেন না।
দ্রৌপদী আর গুজব
প্রণব মুখোপাধ্যায় দ্বিতীয় বার রাষ্ট্রপতি হবেন কি না, তা নিয়ে বেশ খানিক জল্পনা চলল। মাঝখানে ভেসে উঠল লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুমিত্রা মহাজনের নামও। আবার সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকেও সঙ্ঘ পরিবারের অনেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চান। রাষ্ট্রপতি পদের জল্পনায় এ বার নতুন নাম দ্রৌপদী মুর্মু। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল, এই আদিবাসী নেত্রীকেই নাকি মোদী রাষ্ট্রপতি করবেন বলে জোর গুজব দিল্লিতে। জোরালো রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া যাবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু দ্রৌপদীকে নিয়ে গুজবের শুরু ১ এপ্রিল থেকে। অনেকের প্রশ্ন, ‘এপ্রিল ফুল’ না তো!
মুখার্জি ফাউন্ডেশন
অবসরের পর বিদেশ নীতি নিয়ে একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ খুলতে পারেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। নাম নাকি হবে ‘মুখার্জি ফাউন্ডেশন’। সিইও হবেন অমিতা পল, যিনি এখন রাষ্ট্রপতির ওএসডি। তৈরি হলে সেটাই হবে কোনও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির তৈরি প্রথম ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’।
জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়,
অনমিত্র সেনগুপ্ত, দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমাংশু চৌধুরী