শত্রুঘ্ন কি এ বার বাঙালি বাবু
বিহারি বাবু শত্রুঘ্ন সিনহা কি এ বার বাঙালি বাবু হতে চলেছেন! অনেক দিন ধরেই বিজেপির এই সাংসদ ‘বিদ্রোহী’দের দলে। কিছু দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লিতে এসেছিলেন, সে সময় তাঁর সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেছিলেন শত্রুঘ্ন। এক সময় গৌতম ঘোষের পরিচালনায় বাংলা ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। দিল্লিতে জোর গুজব, শত্রুঘ্ন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে, ঘাসফুল চিহ্নে পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভায় লড়তে আগ্রহী। তৃণমূল কি তাঁকে হিন্দিভাষী অধ্যুষিত কোনও আসনে প্রার্থী করবে? বিজেপিরই কোনও সাংসদ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেবে বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই? তৃণমূল নেতারা বলছেন, যা জানার, নেত্রীই জানেন। যা ঠিক করার, তিনিই করবেন।
দিল্লির গল্প
কখনও তিনি অর্থনীতিবিদ, কখনও তিনি লেখক। সঞ্জীব সান্যালের লেখক-সত্তারও নানা রকমফের। কখনও সমুদ্র বা নদীর অর্থনীতি, কখনও আবার দেশের ভূগোলের ইতিহাস। এ বার অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শাহি দিল্লির গল্প শুনিয়েছেন। আছে রাইসিনা হিল থেকে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার, খান মার্কেটের বাহরি সান্্স থেকে তাজ মান সিংহ হোটেলের লবি— ক্ষমতার অন্দরমহলের গল্প। যে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে গ্রামে অট্টালিকা তৈরির নির্দেশ যায়। কিন্তু গ্রামের মানুষরা বুঝতেও পারেন না, কেন সেই অট্টালিকা, তাতে তাঁদের কী লাভ! প্রশ্ন করলে উত্তর মেলে, উপরমহলের অর্ডার। সঞ্জীবের ‘লাইফ ওভার টু বিয়ার্স’ বইয়ে এ বার দিল্লির সেই দিওয়ান-ই-খাস’এরই গল্প।
রজনী এখনও
আঠারো বছর আগে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। হরিয়ানার আমলা থাকার সময় শীর্ষস্তরের চাপ সত্ত্বেও দুর্নীতি সহ্য করেননি। জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়েছিলেন। সরকার তাঁকে বদলি করেছিল। কিন্তু বদলি হওয়ার আগে আসল নিয়োগ তালিকা আলমারিতে রেখে, গোটা আলমারি কাপড় দিয়ে একেবারে ব্যান্ডেজ় করে সিল করে দিয়েছিলেন। তাঁর সেই রুখে দাঁড়ানোর জেরেই হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালাকে জেলে যেতে হয়েছিল। আইএএস অফিসার রজনী সেখরি সিব্বল এ বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে এলেন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। রজনী অবশ্য আর একটি কারণেও খ্যাত। ভারতের গরুদের নিয়ে গবেষণা ভিত্তিক ‘কামধেনু: কাউজ অব ইন্ডিয়া’ বইয়ের লেখক তিনি। মোদী জমানায় যখন গো-মাতাদের রমরমা, তখন গরু-গবেষক রজনীরও কদর বাড়ল।
বাজলেই বাজেয়াপ্ত
অবশেষে অনুমতি মিলল। সুপ্রিম কোর্টের এজলাসের ভিতর এত দিন সাংবাদিকদের মোবাইল নিয়ে যাওয়া বারণ ছিল। আইনজীবীরা অবশ্য স্বচ্ছন্দে মোবাইল নিয়ে যেতে পারতেন। দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি ছিল, সাংবাদিকরা রীতিমতো যুক্তি দিয়েও দেখিয়েছিলেন— বিদেশের অনেক সর্বোচ্চ আদালতে মোবাইল তো বটেই, সাংবাদিকরা ল্যাপটপ নিয়েও এজলাসে যেতে পারেন। সেখান থেকেই সওয়াল-জবাব লিখে অফিসে পাঠাতে পারেন। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এ বার সাংবাদিকদের মোবাইল সঙ্গে রাখার অনুমতি দিয়েছেন। তবে সঙ্গে কড়া শর্ত। মোবাইল থাকবে ‘সায়লেন্ট’ অবতারে। বেজে উঠলেই বাজেয়াপ্ত।
কুলফি ও কবিতা
আহ্বান: রামকিশোরের কুলফি
পাশেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। উল্টো দিকে আকাশবাণী ভবন। আশেপাশে নীতি আয়োগ, সংসদ ভবন, পরিবহণ ভবন, শ্রম-শক্তি ভবনের মতো সরকারি অফিস। এর মাঝখানেই, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়ালের পাশে গত আঠারো বছর ধরে কুলফি বেচছেন দিল্লির বাসিন্দা রামকিশোর। গরম পড়লে, মধ্যাহ্নভোজনের শেষে একটু মধুরেণ সমাপয়েৎ-এর জন্য এ যেন মরুভূমিতে মরূদ্যান। কুলফির থেকেও বেশি বিখ্যাত রামকিশোরের কুলফির বাক্সের গায়ে লেখা শের-ও-শায়েরি। যা কিছু দিন অন্তরই বদলে যায়। কখনও ‘চাঁদ কি তারিফ সিতারোঁ সে পুছো, কুলফি কি তারিফ খানেওয়ালে সে পুছো’। এখন আবার চলছে ‘কভি সর্দি, কভি গর্মি, ইয়ে কুদরত কে নজারে হ্যায়, পিয়াস উসকো ভি লাগতে হ্যায় জো দরিয়া কে কিনারে হ্যায়’।
শুরুর অপেক্ষা
দেশের মধ্যে নতুন রেকর্ড তৈরি করল দিল্লি মেট্রো। জনকপুরী (পশ্চিম) স্টেশনে বসেছে দেশের দীর্ঘতম এসক্যালেটর। প্রায় পাঁচ তলা বাড়ির সমান, ১৫.৬ মিটার দীর্ঘ এসক্যালেটরের এক-একটির ওজন প্রায় ২৬ টন। জনকপুরী (পশ্চিম) থেকে কালকাজি মন্দির পর্যন্ত নতুন লাইন চালু হলে, এটাই হবে দেশের দীর্ঘতম এসক্যালেটর। এত দিন অবশ্য দিল্লির কাশ্মীরি গেট স্টেশনেরই এই রেকর্ড ছিল। বিশ্ব রেকর্ড অবশ্য অনেক দূরে, সেন্ট পিটার্সবার্গ মেট্রোর তিনটি স্টেশনে রয়েছে ৬৯ মিটার লম্বা, বিশ্বের দীর্ঘতম এসক্যালেটর।
জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী