রানি অহল্যাবাই হোলকারের জন্মত্রিশতবার্ষিকীতে ভোপালে মহিলা স্বশক্তিকরণ মহা সম্মেলনে রানি-স্মৃতিতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রকাশিত তিনশো টাকার স্মারক মুদ্রার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রানির ছবি খোদাই করা মুদ্রার ওজন প্রায় ৩৫ গ্রাম। মুদ্রাটিতে রুপো প্রায় ৫০%। মহা সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ১৫০০ মহিলা নিরাপত্তাবাহিনীর দল। হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে ছিলেন না মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ওই দিনই তিনি ছিলেন হরিয়ানায় নিজের মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিস্মিত অনেকেই। বিশেষত মহিলা সংক্রান্ত কোনও যোজনায় তিনি থাকবেন না, এমনটা হয় না। এই যোজনাগুলিই তাঁকে ‘মামা’ সম্বোধন এনে দিয়েছে। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে বিজেপি শিবিরে জল্পনা নতুন নয়। তাই এই অনুপস্থিতি ইচ্ছাকৃত কি না, প্রশ্ন উঠেছে।

উদ্যাপন: ভোপালে রানি অহল্যবাই হোলকারের জন্মোৎসবের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী।
মিষ্টিমুখে হাসিঠাট্টায়
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের সাংবাদিক সম্মেলন। তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানালেন। ঘোষণা করলেন, সামরিক অভিযানের সাফল্য উদ্যাপন করতে ‘তিরঙ্গা বরফি’তে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা হয়েছে। ঘরোয়া আড্ডায় অবশ্য অশ্বিনী মজা করে বললেন, সামরিক অভিযানের সময় কিছু অতি উৎসাহী বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম কার্যত সেনাবাহিনীর আগেই ইসলামাবাদে, করাচিতে পৌঁছে গিয়েছিল। ঘোষণা করে দিয়েছিল, ইসলামাবাদ, করাচিতে ভারতীয় সেনা আক্রমণ করছে। পিছন ফিরে দেখে, সেনাবাহিনী পৌঁছয়নি। তাই ফিরে এসেছে। সাংবাদিকরা মজা করে বললেন, ভাগ্যিস ভারতীয় সেনা পাক-অধিকৃত কাশ্মীর দখল করে ফেলেনি। তা হলে রেল মন্ত্রককে সেখানে বন্দে ভারত চালু করতে হত!
অসম্ভবকে সম্ভব করে...
২২ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নিলেন বিচারপতি অভয় এস ওকা। সাধারণত শেষ দিনে বিচারপতিরা মামলা শোনেন না বা রায় ঘোষণা করেন না। শুধু বিদায় সংবর্ধনার জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বসেন। কিন্তু বিচারপতি ওকা চিরকাল ব্যতিক্রম। বিচারপতি হিসাবে ইডি-র হাতে প্রবল ক্ষমতা ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। অবসরের আগের দিন তাঁর মা প্রয়াত হন। তাই সে দিন আদালতে বসতে পারেননি। তাই অবসরের দিন আগে দশটি মামলার রায় ঘোষণা করে, তার পরে বিদায় সংবর্ধনায় গেলেন। সেখানে হাজির অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে দেখে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ফুট কাটলেন, বিচারপতি ওকা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। বিনা ফি-তে সিঙ্ঘভি আদালতে হাজির হয়েছেন!
আমভক্ত দিল্লি
দিল্লির বাজারে বিশেষ বাংলার আম মেলে না। তাই ভরসা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয়োজনে প্রতি বছরের আম মেলা। স্বস্তির কথা, গত বছর থেকে দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে দক্ষিণ দিল্লি আম মেলা শুরু হয়েছে। চলছে ৫ জুন থেকে ১১ জুন, দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ির প্রণব মুখোপাধ্যায় সভাগৃহে। মালদহের বাগান থেকে সরাসরি নিয়ে আসা হচ্ছে কার্বাইড বিহীন প্রাকৃতিক ভাবে পাকা আম। হিমসাগর, ল্যাংড়া, তোতাপুরি, আম্রপালী, গোপালভোগ, মল্লিকা, ফজলি, লক্ষ্মণভোগ, অমৃতভোগ-সহ ১৫টি বিভিন্ন প্রজাতির আম ছাড়াও বাংলার বাইরের আম হিসাবে স্থান পাচ্ছে মহারাষ্ট্রের আলফানসো। দিল্লির জনপথে হ্যান্ডলুম হাটে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আম মেলা চলবে ২৪ জুন থেকে ৮ জুলাই। দিল্লিতে এ বার আমের মজা দ্বিগুণ।

রসালো: দিল্লিতে আম-মেলা।
নামমাহাত্ম্য
লখনউয়ের কাছে মালিহাবাদে উদ্যানতত্ত্ববিদ হাজি কলিমুল্লা খানের আম বাগান। এক গাছে তিনশো রকমের আম ফলিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। পেয়েছেন পদ্মশ্রী। তাঁর বাগানে এর আগে আমের নামকরণ করেছেন সনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদী, সচিন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের নামে। এ বার বাগানে লম্বা মাপের নতুন আম ফলেছে। এক-একটির ওজন প্রায় আধ কেজি। নাম দিয়েছেন ‘রাজনাথ আম’। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নামে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের কৃতিত্বের স্মরণে। কলিমুল্লার বক্তব্য, সাত-আট বছরের চেষ্টায় নতুন আমের প্রজাতির জন্ম। এই আম চেহারায় রাজনাথের মতো, সুঠাম ও লম্বা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)